এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ ও দিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লা'র সঙ্গে একই ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আবু জাফর মোল্লা একটি মোটরসাইকেলে করে জয়ঝাপ গ্রামে তার বাড়িতে যাওয়ার সময় নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের সমর্থকরা পেছনের দিক থেকে হামলা করে। এ সময় আবু জাফর মোল্লা আহত হন। ওই হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে একই দিন সন্ধ্যায় আবু জাফর মোল্লা ও নুরুল ইসলাম মাতুব্বর গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, টেঁটা ও ইটের টুকরো নিয়ে দিয়াপাড়া ও জয়ঝাপ গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং আবু জাফর সমর্থিত ব্যক্তিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি, দোকাপাট ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতি করে।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লা জানান, ফরিদপুর শহর থেকে জুম্মার নামাজের পুর্বে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে কোরবানী ঈদ করার জন্য যাই। পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা নুরুল ইসলাম গংরা আমার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। নুরুল ইসলাম সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান ওদুদ মিয়া সমর্থিত গ্রুপ।
আবু জাফর আরও জানান, আমি গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। যেকোন সময় এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি আমার উপর আবার হামলা চালাতে পারে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি সালথা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।
সালথা থানার এস আই আওলাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনানস্থলে গিয়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি । এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা এখন শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, সালথার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার সাথে জড়িতর প্রমাণ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
এমআই