স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ফুটবলের ৯২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মুসলিম দেশে প্রতিযোগিতার আসর বসছে। অনুশাসনের জেরে বিভিন্ন দেশের স্পোর্টস ট্যুরিজম সংস্থাগুলির মাথায় হাত। কলকাতার বিশিষ্ট স্পোর্টস ট্যুরিজম সংস্থা হারমিজ ভয়েজেস এর কর্ণধার অভিজিৎ দাস তো বলেই দিলেন, কাতারে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই ছোট এ তরী। অর্থাৎ কাতারে হোটেলের সমস্যা তীব্রতর। আরও সমস্যা আছে কাতারে। বিশ্বের বেশিরভাগ ফুটবল দর্শক বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ও লাতিন আমেরিকান দর্শকরা বিয়ার পান করতে করতে ফুটবল দেখায় অভ্যস্ত। কাতার মুসলিম দেশ হওয়ায় কড়া পানীয় এখানে নিষিদ্ধ। তাই স্টেডিয়াম এর ভিতরে বিয়ার নিষিদ্ধ । পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা বার্ডওয়াই সার আবার বিশ্বকাপ এর অন্যতম স্পন্সর। স্টেডিয়াম গুলিতে বিয়ার পরিবেশনে তৈরি সংস্থাটি।
কিন্তু, কাতারের অনুশাসন বাধার প্রাচীর তুলছে। নন অ্যালকোহলিক ড্রিংক বার্ড ওয়াইসার জিরো তে চুমুক দিতে দিতে বিশ্ব কাপের ম্যাচ দেখতে হতে পারে দর্শকদের। তবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। রক্ষনশীল কাতারে বান্ধবী নিয়ে এসে বিশ্বকাপ দেখার সম্ভবনায় দাঁড়ি টেনেছে উদ্যোক্তা দেশ। কাতারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হোটেলে স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারীর সঙ্গে চেক ইন করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বিশ্বকাপ এর সময়েও। ফলে, বিশ্বকাপে বান্ধবী নিয়ে ঘোরার যে চল আছে ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকায়- এবার তাতেও কোপ। স্পোর্টস ট্যুরিজম ব্যবসায় যুক্তরা মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া আর কি করতে পারেন!
এমআই