আজকাল যেমন আছি
কবিতার সাথে দেখা হলে বলো- সে যেন আমার অপেক্ষায় না থাকে
আমি এখন প্রয়াত অতীত
বুকের ডায়াগ্রাম ছেদ করে রাক্ষুসী আবেগেরা চলে গেছে
মনের দায়ে আর কতো লিখে যাবো
বুক কেটে?
তাকে চলে যেতে বলো
বলে দাও, ১৬৮/১-এ ঠিকানায় কোনো কবি বাস করে না
তার গন্তব্য অনিশ্চিত, সে না জলের, না ডাঙার
সে ভাঙতে ভাঙতে পরমাণু হয়ে গেছে
আঘাতে আঘাতে সে এখন শেষ বিকালে পড়ে থাকা
ডানাভাঙা শালিকের মতন
কবিতাকে বুঝিয়ে বলো-যদি করোজ্জ্বল সোনালি আলো
ভাসতে ভাসতে কখনো রুগ্ন পালক ভেজায়
সুমিষ্ট শব্দের কোরাস আবার বুকের অলিন্দে সুর তোলে
সেদিন নিজে ছুটে যাবো তার কাছে
তদ্দিন, বলে রাখো যে, অস্থির কবি এখন বিশ্বাসবতী প্রেমিকা হয়ে
ডুবে আছে গহীন আন্ধারে।
একাকিত্ব তার নাম
আমি একা
তাই যদি আপাত দৃশ্যমান
দিনে-রাত্তিরে, হুটহাট দ্বিপ্রহরে
বেদনা নামক যে আসে
সে কে?
কিছুই পাইনি
তবু অন্ধকারের বুক ভাসিয়ে
ডমরু বাজিয়ে, যে দুঃখ আসে
সূর্যাস্তের সোনার রেখার মতো
কে সে?
কেউ নেই, অথচ-
দু'চোখে প্লাবন এসে কূল তার ভেঙে যায়!
সময় জার্নাল/ইম