আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাকে দায়িত্ব পালন করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে তার কথা বিক্ষোভকারীরা আমলে নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা জারির পরেও কলম্বোর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এমন অবস্থায় রাজধানী কলম্বোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে সেনাবাহিনী এমন ধারণা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের লড়াই এখনই শেষ হয়ে যায়নি। তাদের দাবি সরকারের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। একইসঙ্গে দেশের যে অবস্থা হয়েছে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হতে হবে। বিবিসির খবরে জানানো হয়, এই অবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যা কিছু করা দরকার সেসব করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার অফিসসহ সরকারি আরো যেসব ভবন বিক্ষোভকারীরা দখল করে রেখেছে সেগুলো থেকে তাদের চলে যাওয়ার জন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিক্রমাসিংহে বলেন, আমরা চাইলেই সংবিধানকে ছিঁড়ে ফেলতে পারি না। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা দখল করবে এটা হতে দেয়া যায় না।
গণতন্ত্রের প্রতি ফ্যাসিবাদীদের এই হুমকির অবসান ঘটাতে হবে। কিন্তু তার এসব কথায় কেউ কান দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কারফিউতে দেশ স্তব্ধ হলেও কলম্বোতে আন্দোলন চলছে। সেখানে কর্তব্যরত বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে দেশটির সেনাবাহিনী হয়তো রাজধানী কলম্বোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে।
এমআই