অধ্যাপক মালেকা আক্তার চৌধুরী:
ব্যস্ত মেগাসিটি ঢাকার বুকে একখন্ড মুখর জামালপুরকে দেখে বেশ ভালোলাগার একটা স্নিগ্ধ পরশের অনুভব খুঁজে পেলাম। ঢাকাস্হ জামালপুর সমিতির বিশেষ সংবর্ধনা ও নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো ইস্কাটনস্হ বিয়াম ভবনে। নবগঠিত কমিটিকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
একসময়কার অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া, ভাঙ্গন কবলিত জামালপুরের কৃতি সন্তান সাবেক মূখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বহুমাত্রিক কর্মের বিশেষায়িত গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ ১০ মে ২০২২ জাপান সরকার কর্তৃক প্রদেয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদক " Order of the Rising Sun, Gold and Silver Star পুরষ্কারে ভূষিত বরেণ্য এই কৃতি সন্তানকে সংবর্ধিত করা হলো জামালপুর সমিতির পক্ষ থেকে। সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব হাসান মাহমুদ রাজা এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্হিত ছিলেন জামালপুর সদর - ৫ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগের জনাব মির্জা আজম এমপি। উদ্বোধন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি । সম্প্রীতি'র সম্পাদক বন্ধু মাসুদ রেজা রহিম জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের সংক্ষিপ্ত এক রুপরেখা তুলে ধরে সকলকে অবহিত করার মহান দায়িত্বটা নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। এজন্য বন্ধুবর মাসুদ রেজা রহিমকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চমৎকার এক অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকতে পেরে জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্যার সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জেনে নিজেকে ঋদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জনাব মির্জা আজম রাজনৈতিক দিক থেকে আর জনাব আজাদ প্রশাসনিক দিক থেকে সদিচ্ছার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন আজকের আধুনিক জামালপুরের বহুমাত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে। সে সত্য আজ দৃশ্যমান। জামালপুরের কৃতি দুই ম্যাজিকম্যান আধুনিক জামালপুরের রুপকারের একজন নেপথ্যের কারিগর অন্যজন সশরীরে মাঠে থেকে অনলস শ্রম ঘাম মেধায় প্রিয় জামালপুরকে তিলোত্তমা করার কাজে নিয়োজিত আছেন ।
জামালপুরবাসী এর সুফল নানানভাবেই উপভোগ করছেন। আমরা তাদের প্রতি আক্ষরিক অর্থেই কৃতজ্ঞ । জনাব আজাদের মেধা একনিষ্ঠতা, কর্তব্যকর্মে সততা ও দক্ষতার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আস্হাভাজন হয়ে বিদ্যুৎ খাত থেকে শুরু করে অনেক সেক্টরেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন। জনাব মির্জা আজম তা়ঁর বক্তব্যে দৃঢ়ভাবে বলেছেন, আজাদ ভাইয়ের কর্মের মূল প্রেরণা ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ আজ শুধু জামালপুরের গৌরব নয় ; তিনি দেশ জাতি রাষ্ট্র সর্বোপরি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। একজন বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে স্হান করে দিয়েছেন তেমনি জনাব আজাদের জন্যও বাঙালি সম্মানিত বোধ করবে বিশ্ববাসীর কাছে। জনাব আজাদ তা়ঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, প্রাপ্তির পেয়ালা তাঁর কানায় কানায় পূর্ণ। এবার ঋণ পরিশোধের পালা বলেও সগোক্তি করেছেন। বাবার জানাজার ইমামতি করে উনি সর্বোচ্চ প্রশান্ত চিত্তে জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটানোর কথাও অকপটে বলেছেন। এমন একজন আবুল কালাম আজাদ নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয় ; অহংকার তো বটেই । জামালপুরের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দুই সহযোদ্ধা সারথী দেশ মাতৃকার বৃহৎ পরিসরে আপনাদের কর্মপরিধির বিস্তার ঘটিয়ে সুনামের সাথে এগিয়ে চলুন ; গর্বিত জামালপুরবাসী আত্মতুষ্টিতে আপনাদের স্মরণে - শ্রদ্ধায় লালন করবে সবসময়। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: অধ্যাপক মালেকা আক্তার চৌধুরী: দর্শন বিভাগ ও সাবেক সম্পাদক শিক্ষক পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।