শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে প্রয়োজনে বিএনপিকে চা খাওয়াবেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার, জুলাই ২৩, ২০২২
কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে প্রয়োজনে বিএনপিকে চা খাওয়াবেন প্রধানমন্ত্রী



সময় র্জানাল ডেস্ক: বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় এসব কথা বলেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।তবে যদি বোমাবাজি ও ভাঙচুর করে, সেটি করলে বাধা দেব এবং উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই। সেটা তো করেই যাচ্ছে।’কথা বলার স্বাধীনতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কথা যত পারুক বলুক। যদিও সারা দিন কথা বলার পর বলে কথা বলতে দেওয়া হয় না। মিটিং করে লোক হয় না, বলে আমাদের লোক আসতে দেয় না সরকার।’

বিএনপির নেতৃত্বে এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি ও অর্থ পাচারকারী রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশে একটা মানুষও পায়নি তারা নেতা বানাতে? দলটির গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদে আছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়, তাহলে দলটির নেতা হতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি তা–ই করেছে। তারপরও তারা কথা বলছে।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সংস্কার করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা এসে থাকে, সেটা আওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে।২০১৮ সালের নির্বাচনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানী-গুণী যাঁরাই কথা বলেন, তাঁরা কি এটা চিন্তা করেছেন ৩০০ সিটে যদি একটা দল সাড়ে ৭০০ মনোনয়ন দেয়, তাহলে তাদের নির্বাচন কী করে হয়? একজন বিএনপি অফিস থেকে দিচ্ছে, আরেকজন লন্ডন থেকে, আরেকজন গুলশান অফিস থেকে দিচ্ছে। যারা এভাবে নির্বাচন করে, তারা নির্বাচনে জিতবে কী করে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক বিদ্যুতে বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। যোগাযোগের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশ আজ উন্নয়নশীল।আওয়ামী লীগ সব সময় এই দেশের জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে জন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা আমাদের আমলেই হয়েছে।’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য দুই–তৃতীয়াংশ ক্ষমতা নিয়েই সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়। যাদের এ ধরনের মানসিকতা, তারাই ভোট চুরি করে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ তা–ই করে গেছে। আর খালেদা জিয়া তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতা আসে। আরেকবার জামায়াতের হাত ধরে এল।’আদমশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা খুব একটা বাড়েনি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৬ কোটি ৫০ লাখের বেশি হবে। সামান্য কিছু হয়তো পরবর্তী সময়ে বাড়বে বন্যাকবলিত এলাকা ধরে। তিনি বলেন, ‘কেউ দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি বলে, ১৭ কোটি বলে, আমাদের কিন্তু এত জনসংখ্যা না।

 কাজেই এই মানুষগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করতে পারব। আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, সবই পারব। কিন্তু লুটেরা এলে কি করবে সেটা জানি না।’কৃচ্ছ্রের আহ্বান বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশবাসীকে কৃচ্ছ্র সাধনের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজের সঞ্চয়, উৎপাদন বাড়াতে হবে।মানুষের সব মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব বড় আকারে হয়তো করতে পারব না। কিন্তু গরিবানা হালে মানুষের দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই, সুন্দর থাকা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা—এটুকু তো করতে পারব।’

ডিজেল, এলএনজিসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার লোডশেডিং করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে জার্মানি সুর তুলেছিল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে না, তারা কিন্তু আবার সেটিতে ফেরত গেছে।’গত শুক্রবার জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, এর জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্য এখন আনা যাবে, কেনা যাবে। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়। এর মাধ্যমে খাদ্যের অভাব থাকবে না।’

আবারও বন্যার আশঙ্কা আছে জানিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।সভা চলাকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, বিপ্লব বড়ুয়া, সেলিম মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, সায়েম খান প্রমুখ।১ আগস্ট থেকে শোকের মাস আগস্ট শুরু। শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যৌথসভায় বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসএম


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল