আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
৮ বছর ধরে ডায়াবেটিস। কিন্তু কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে আনার মাধ্যমে সেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন সাংবাদিক জে হিলোটিন। তিনি গালফ নিউজের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট এডিটর। কার্বোহাইড্রেট কমানোর জন্য বিশেষত তিনি অবিরত অনাহারে থাকার চর্চা করেন। নিজেই লিখেছেন, আমার ৮ বছর ধরে ডায়াবেটিস। এর জন্য মেডিসিন ব্যবহার করছিলাম। এর মধ্যে দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রামের এক ডোজ ইনসুলিন নিতে হতো। কিন্তু আমার চিকিৎসক আমাকে ডায়াবেটিকবিরোধী আরেকটি পদ্ধতি দিলেন। তাতে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে চিনির স্তর নামিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হয়। এটা সম্ভবও।
এক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে অনাহারে থাকার এবং কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে আনা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তবে এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অবশ্যই পরামর্শ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি অনলাইন গালফ নিউজে লিখেছেন, ২০২২ সালের ২১শে জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা পেরিয়ে গেছে। আগের রাতে প্রায় ১০টার দিকে আমরা শেষ খাবার খেয়েছি। তা ছিল চিজ উইজ এবং কেউপি মায়ো’র সঙ্গে কুচি কুচি করে কাটা কপি। ফলে প্রায় ১৭ ঘন্টা হতে চলেছে, আমরা কোনো খাবার গ্রহণ করিনি। এটাই এখন আমার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে গেছে। তবে মাঝে মধ্যে দু’একদিন এই রুটিনের ওপর যে অত্যাচার করি না, তা নয় কিন্তু। এভাবে আমি গত ৬ মাস ধরে অনাহারে থাকার মধ্য দিয়ে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচ্ছি। একে ইংরেজিতে বলা হয় লো-কার্বোহাইড্রেট ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (এলসিআইএফ)।
জে হিলোটিন আরও বলেছেন, আমার এই এলসিআইএফ জার্নি শুরু হয়েছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে। ওই সময়ে আমার ওজন ছিল ৭৫ থেকে ৭৬ কেজি, যদিও আমার স্বাভাবিক ওজন হওয়া উচিত ৬২ থেকে ৬৭ কেজি। ওই সময় আমার বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) ছিল ২৭.৩। আমার চর্চিত রীতির ফলে তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৩। এটা স্বাভাবিক ওজন। জীবনে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনার ফলে এটা অর্জন সহজ হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল অধিক পরিমাণ ব্যায়াম।
এর আগের বছরগুলোতে বুঝতে পারতাম যে, আমার ওজন অনেক বেড়ে গেছে। তবে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হইনি। কারণ, এই ওজন কমিয়ে
আনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচ্ছি। একে ইংরেজিতে বলা হয় লো-কার্বোহাইড্রেট ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (এলসিআইএফ)।
জে হিলোটিন আরও বলেছেন, আমার এই এলসিআইএফ জার্নি শুরু হয়েছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে। ওই সময়ে আমার ওজন ছিল ৭৫ থেকে ৭৬ কেজি, যদিও আমার স্বাভাবিক ওজন হওয়া উচিত ৬২ থেকে ৬৭ কেজি। ওই সময় আমার বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) ছিল ২৭.৩। আমার চর্চিত রীতির ফলে তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৩। এটা স্বাভাবিক ওজন। জীবনে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনার ফলে এটা অর্জন সহজ হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল অধিক পরিমাণ ব্যায়াম।
এর আগের বছরগুলোতে বুঝতে পারতাম যে, আমার ওজন অনেক বেড়ে গেছে। তবে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হইনি। কারণ, এই ওজন কমিয়ে আনতে হবে এমন কিছু খুব জোর দিয়ে ভাবিনি। এক পর্যায়ে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। ৮ বছর ধরে চিকিৎসা নিই। তবে তাতে কাজ হচ্ছিল বলে মনে হয়নি। অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠার পর চিকিৎসক ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে থাকেন। এতে আমার সুস্থ হওয়ার আশা হারিয়ে যেতে থাকে। এর আগে আমি শরীরের ওজন কমানোর কোনো চেষ্টাই করিনি। মনে হয়েছে এর কোনো প্রয়োজনই নেই।
২০২১ সালের অক্টোবরে আমার স্ত্রী কম কার্বোহাইড্রেট এবং একটানা খাবার গ্রহণ না করার অভ্যাস নিয়ে টুইট করে যাচ্ছিল। সে এসব অভ্যাস করে যাচ্ছিল, আমি শুরু করার আগেই। এক সময় তার ওজন হয়েছিল ৯০ কেজির বেশি। তাকে নানা রকম ওষুধ নিতে হতো। তার মধ্যে হাইপারটেনশনের ট্যাবলেট সেবন করতে হতো। আমার স্ত্রী এলসিআইএফ শুরু করার পর এখন তার ওজন কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ কেজি। তাকে এখন অনেক সুন্দরী দেখায়।
আমাদের খাদ্য তালিকা এরকম। বুধবার রাত ১০টায় সালাদ। এটা বানানো হয় কপি, কিউপাই মেয়োনেজ ও চিজ উইজ দিয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় পান করি পানি ও কফি। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় হালকা খাবার খাই। থাকে স্লাইস করা অ্যাভোক্যাডো একটা, ২টি ডিম, মুরগির কিছু মাংস ও চিনিমুক্ত কফি। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে সাবধান করেছেন জে হিলোটিন । বলেছেন, এসব করার আগে যেকাউকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।
এমআই