ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ায় ‘আইটি/হাই-টেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আজ সকালে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ৯ এর জায়গার উপর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
পরে দুপুরে এ উপলক্ষে সিংড়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ও অর্থনৈতিক প্রভাবের কিছু অংশ এখানেও লেগেছে। তবে এ সংকট মোকাবেলা করার মতো শেখ হাসিনা ছাড়া কোন নেত্রী নেই। তার নানা উদ্যোগে দেশের মানুষ এখন মানব সম্পদে পরিণত হয়েছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব জিয়াউল হক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক , নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ সফল উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলাধীন শেরকোল মৌজায় ৯.২৮২৬ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর