এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলায় ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে স্কুল শিক্ষক মোঃ মালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যানারে শরণখোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন । বক্তারা শিক্ষক মালেক হাওলাদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানান।
পরে লিখিত অভিযোগ করে উপজেলার পশ্চিম বানিয়াখালী ৩৭নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মালেক হাওলাদার জানান, আমি অত্র বিদ্যালয়ে সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছি । কিন্তু খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছিদ্দিক গাজীর বাড়ির সামনে বিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের সকল বরাদ্দকৃত অর্থ তিনি কৌশলে আত্মসাত করেন।
তার এমন কাজের প্রতিবাদ করায় তিনি ও তার সহযোগীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকে একই এলাকার মোঃ বাবুল হাওলাদার আমার বিরুদ্ধে স্কুলের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ তোলেন। এর একদিন পর (২৩ জুলাই) শনিবার সকালে আমার ছেলে ও আমার স্ত্রীকে বাড়ির সামনে দেখে গালাগালি করে ও এক পর্যায় মারধর করে। এবং ওইদিন সকাল ৯টায় আমি স্কুলে গেলে আমাকেও তারা স্কুলে আসলি কেনো বলে মারধর করে। তখন আমার ছেলে ৯৯৯ কল দিলে সেখান থেকে শরণখোলা থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করেন।
বিষয়টি ইউপি সদস্য মোঃ ছিদ্দিক গাজি অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় বাবুল হাওলাদারের স্ত্রীর সাথে শিক্ষক মালেক হাওলাদারের বড় ছেলের পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ । ওইদিন ওরা স্কুলের সামনে মারামারি করে বলে আমি দুই পক্ষকে থামাতে গেলে উল্টো আমার উপর হামলা চালায় মালেকের ছেলে । এখানে আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সময় জার্নাল/এলআর