ইসাহাক আলী, নাটোর, প্রতিনিধি:
নাটোরে “তরকারীতে তেল বেশি দেওয়ার কারণে গৃহবধুর সাত আঙ্গুল কর্তনের” ঘটনায় প্রধান আসামী স্বামী মোঃ আব্দুল হাই এক সহযোগী গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ভোরে নাটোর জেলার সদর থানাধীন হালসা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাদের আজ সকালে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়। এ সময় র্যাব-৫ রাজশাহীর কমান্ডার লে. কর্নেল মো: শাহরিয়ার, সিপিসি-২ এর কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় র্যাব কর্মকর্তারা জানান, নাটোর সদর থানার একটি মামলার প্রেক্ষিতে সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে মোঃ আব্দুল হাই ও তার সহযোগী রাব্বিকে আজ ভোরের দিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাই সদর উপজেলার বড় হরিশপুর গ্রামে মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে ও রাব্বি মিয়া (২০) একই এলাকার মোঃ আব্দুল খালেক ছেলে।
মামলার এজাজারে জানা যায় , প্রায় ১২ বছর পূর্বে আব্দুল হাই এর সাথে মুক্তির বিয়ে হয়। তাদের এক কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই হাই যৌতুকসহ বিভিন্ন কারনে মুক্তির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। গত ২৪ জুলাই বেলা ১২ টার আসামী হাই তরকারীতে তেল বেশি দেওয়ার ঠুনকো কারণে তার মামাতো ভাই মোঃ রাব্বি মিয়া সহ অন্যান্যদের কুপরামর্শে ও ইন্ধনে মুক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে কোপাতে থাকে।
এতে তার দুই গালে ও বাম চোখের কোণায় হাসুয়ার কোপ লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়া জীবন রক্ষার্থে মুক্তি হাসুয়ার এলোপাথাড়ী আঘাত দুই হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার বাম হাতের চারটি আঙ্গুল এবং ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে গুরুতর জখম হয় এবং চামড়ার সাথে ঝুলে থাকে। পরে মুক্তির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে মুক্তি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। পরে মুক্তি খাতুনের ভাই আসামীদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, এই মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
সময় জার্নাল/এলআর