আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে। তিনি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের মহাসচিবও।
রাজ্যে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে ছয় দিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হন তিনি।
শুক্রবার সকাল থেকে তার বাড়িতে একটানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ও জেরা করার পরে শনিবার সকালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের গভর্নরের আদেশ অনুসারে মুখ্য সচিব একটি নির্দেশিকা জারি করেন, যেখানে লেখা হয়েছে- শিল্প-বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয়সহ পার্থ চ্যাটার্জির হাতে থাকা সব দায়িত্ব থেকে তাকে মুক্ত করে দেয়া হলো।
পার্থ চ্যাটার্জির এক ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রীর দুটি ফ্ল্যাটে দুই দফায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি রুপি নগদ ও লাখ লাখ রুপি মূল্যের গয়না আর সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ ওই অভিনেত্রী অর্পিতা মুখার্জিও।
প্রথম দফায় প্রায় ২২ কোটি রুপি উদ্ধার হওয়া ও পার্থ চ্যাটার্জির গ্রেফতারের পরে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছিল উদ্ধার হওয়া অর্থের সাথে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। পার্থ চ্যাটার্জির ভবিষ্যতও আদালতের ওপরে ছেড়ে দিয়েছিল তার দল।
কিন্তু বুধবার অর্পিতা মুখার্জির আরেকটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২৮ কোটি রুপি নগদ ও আরো কয়েক কোটি মূল্যের অলঙ্কার এবং সোনা উদ্ধার হওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই পার্থ চ্যাটার্জিকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দাবি উঠতে থাকে।
দলের তিনজন মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমেই এই দাবি তোলেন বৃহস্পতিবার সকালে।
প্রকাশ্যেই দলীয় নেতারা বলতে শুরু করেন যে কোটি কোটি রুপি উদ্ধারের ঘটনায় দলের মহাসচিবের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাদের ‘মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে’। ঘটনাচক্রে পার্থ চ্যাটার্জিই তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান।
সময় জার্নাল/এলআর