তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি : রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ফেসবুক ব্যবহারকারী ৫২৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একাউন্টে থাকা তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এই পর্যন্ত ফাঁস হওয়া তালিকায় বাংলাদেশের রয়েছে ৩৮ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য।
ওই তালিকা অনুযায়ী তিতুমীর কলেজে প্রায় ৫ শত ২৬ জনের তথ্য ফাঁস হয়েছে।
তথ্য ফাঁস হওয়া ব্যাবহারকারীর সংখ্যা বের করার ক্ষেত্রে তিতুমীর কলেজ, Titumir College এই কিওয়ার্ড গুলো ব্যাবহার করা হয়েছে।
যেসকল ব্যাবহারকারীর আইডিতে তিতুমীর কলেজ বা Titumir College যুক্ত করা ছিলো তাদেরকেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
তবে যাদের আইডিতে Titumir College যুক্ত করা নেই তাদের তথ্য ফাঁস হলেও এ তালিকায় তাদেরকে তিতুমীর কলেজের ফেসবুক ব্যাবহারকারী হিসবে চিহ্নিত করা হয়নি।
প্রকাশিত তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে - ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি, পুরো নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, প্রোফাইল এবং কিছু ক্ষেত্রে ইমেইল ঠিকানা।
পৃথিবীর ১০৬ টি দেশের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর নাম রয়েছে হ্যাকিং এর তালিকায়। এসব তথ্য প্রকাশ করে একটি লো-লেভেল হ্যাকিং প্ল্যাটফর্ম প্রযুক্তি বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এতে ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার সহ একাউন্টে থাকা ব্যক্তিগত সব তথ্য ফাঁস করেছে চক্রটি। অনেকটা বিনামূল্যে এসব তথ্য অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন খবর শুনে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ আইটি সোসাইটির সভাপতি আরিফ হোসেন রাজন বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা দিনের বেশির ভাগ অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পাড় করে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে আমাদের কাছে জনপ্রিয় একটি সেক্টর হলো ফেসবুক। কিন্তু আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য নিরাপত্তা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নই। যার ফলে অনেকের ফেসবুক একাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় তথ্যসহ, আমাদের আইডি হ্যাক হবার সম্ভাবনা থাকে।
আমরা অনেকেই না বুঝে ও অনেক শর্তসমূহ না পড়ে যেকেনো সাইটে যেকেনো বিষয়ে অনুমতি দিয়ে দেই, এই সুযোগে হ্যাকাররা আমাদের তথ্য গুলো আত্মসাৎ করে থাকে। ফলশ্রুতিতে আমাদের আইডি হ্যাক করে আমাদের তথ্য গুলো তারা বিভিন্ন জায়গায় ফাঁস করে ও অনেক অন্যায় অপকর্ম করে থাকে। অনেক সময় সেই ভুক্তভোগীকে হুমকি দেত্তয়া হয়।
আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। আমাদের মজবুত পাসওয়ার্ড,ইমেল ও মোবাইল নাম্বার গোপন রাখতে হবে। যেহেতু এখন, ফেসবুকের নিরাপত্তা সমস্যার কারনে,অনেকের তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাই আমরা আমাদের আইডিতে আগের পাসওয়ার্ড, ইমেল ও মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে নতুন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ,নতুন ইমেল ও অন্য কোনো মোবাইল নাম্বার দিয়ে আমরা আমাদের আইডি হ্যাক থেকে কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকতে পারবো। সেই সাথে আমরা চেষ্টা করবো আমাদের আইডি প্রোফাইল লক সহ, ২স্টেপ আইডি ভেরিফিকেশন সিস্মটেম চালু রাখার চেষ্টা করবো। এতে আমাদের কিছুটা সময় লাগলেও আমরা আমাদের আইডিকে অনেকটা নিরাপদ বোধ করবো।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি পুরোন এবং এটি ঘটেছে ২০১৯ সালে। বছর দেড়েক আগেই নিরাপত্তার ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
সময় জার্নাল/এমআই