ফরিদপুর প্রতিনিধি: জেলার সালথার সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শামা ওবায়েদ ।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে একটি চাইনিক রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শামা ওবায়েদ বলেন, প্রশাসন আসল ঘটনাটিকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত আসামীদেরকে বাদ দিয়ে তারা বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
বিএনপি করোনার কারনে রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করেছে দিয়েছে। অথচ প্রশাসন সালথার বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামি করেছে। বিএনপি হেফাজতের কোন কর্মকাণ্ডের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে নাই।
সালথা পরিদর্শনে এসে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে , হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা বলছেন। অথচ হেফাজত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমী জননী আখ্যা দিয়েছিল। সেই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালন পালন করেছে।
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এতো তান্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিস্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালন পালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে যে হেফাজত এই তান্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এই তান্ডব বন্ধ করতে পারে। এই নিন্মমানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা, যুবদল সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক যুবদল সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল , মহানগর যুবদল সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, যুব দলের সহ সভাপতি কে এম জাফর, বিএনপি নেতা ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ , দেলোয়ার হোসেন দিলা সহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সহযোগী সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা ঘটানার নিন্দা জানিয়ে ঘটনাটি তদন্তের দাবি করেন।
এ ঘটনায় সালথা থানায় ৫টি মামলায় ৮৮ জনকে এজাহারভুক্ত ও আরো অজ্ঞাত ১৭ হাজার জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।
সময় জার্নাল আরইউ