নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
(বুধবার) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ দপ্তরে জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা এখন সব শ্রেণির মানুষের তথ্য এক করে গড় হিসাব করি। তবে আগামীতে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যবহৃত সবচেয়ে বেশি ২০ থেকে ২২টা পণ্য নিয়ে আলাদা মূল্যস্ফীতির হিসাব করার পরিকল্পনা আছে। নিম্ন আয়ের মানুষের তুলনায় ধনীরা ৬০ থেকে ৭০টা পণ্য বেশি ব্যবহার করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়েনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমেছে। ভোজ্য তেলের দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ডালের দাম বাড়েনি। এসব কারণে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এর প্রভাব পরেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে।
তিনি জানান, ৪২২টি পণ্যের দাম নিয়ে মূল্যস্ফীতির এই হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। তিনি বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১৮ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে যারা সবচেয়ে গরিব তাদের সহ্য ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও বলেন, যারা আশা করেছিল মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে আল্লাহর রহমতে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। কেননা দুই মাস পর রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। চাল আমদানির পথ খোলা রয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্য কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
এমআই