আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভয়াবহ বিপদে শ্রীলঙ্কা। বছরের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে নাগরিক দুর্ভোগ। বুধবার পার্লামেন্টে উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে। তিনি এখনও দেশ পরিচালনায় বিরোধী দলগুলোর সমর্থন প্রত্যাশা করছেন। তবে তারা সরকারে যোগ দিতে অনিচ্ছুক। ২০ শে জুলাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর বুধবারই প্রথম পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। এ সময় রণিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমরা ভয়াবহ বিপদে। আমরা সবাই যদি একজন মানুষ হয়ে একত্রিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি, তাহলেই দেশকে বিপদ থেকে উদ্ধার ও নিরাপদ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, এই পার্লামেন্টের সম্মানিত সদস্যদের পাশাপাশি দেশের সমগ্র জনতার উচিত দেশ গঠনে তাদের নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করা।
তাদের এ অবদান অত্যাবশ্যক। রণিল বিক্রমাসিংহেকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন দ্য হিন্দু।
অনাকাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলঙ্কাকে ভয়াঙ্কর এক অবস্থায় ফেলেছে। দেশটি এরই মধ্যে ঋণখেলাপি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়েছে। জনতার রোষে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। শুধু তিনিই নন। তার বড়ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ রাজাপাকসে সহ রাজাপাকসেরা, যারা শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে পারিবারিক আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন, তারা সবাই বিদায় নিয়েছেন। দল পার্লামেন্টে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেননি। সব মিলে দেশটির রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ পদ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসেছেন ৬ বারের প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে এখানে উল্লেখ্য, তিনি ৬ বার প্রধানমন্ত্রী থাকলেও একবারও মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। তাকে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার মধ্যে কেউ কেউ আশা দেখতে পাচ্ছেন। আবার অনেকে মনে করছেন তিনি রাজাপাকসেদের স্বার্থ রক্ষা করছেন এবং সমালোচকদের টার্গেট করে তাদের কণ্ঠরোধ করছেন।
এমআই