স্পোর্টস ডেস্ক: ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সাথে লিটন দাসের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। তারপর বিজয়-মুশফিক-রিয়াদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে টাইগাররা।
শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এই স্কোর গড়ে সফরকারীরা।
শুরুতে ধীরগতিতে রান তোলে বাংলাদেশ। পরে সময়ের সাথে রানের গতি বাড়াতে থাকেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। প্রথম দিকে লিটনের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। ৪৯ বলেই করেন ৪০ রান। তবে এরপর ফিফটি ছুঁতে এবং পরের ১০ রান করতে খেলেন আরো ৩০ রান। ফিফটি ছোঁয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮০০০ রানের মাইলফলক গড়েন তামিম। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে তামিম স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে হাজার রানের মাইলফলক।
মাইলফলক স্পর্শ করার পর ৯ চারে ব্যক্তিগত ৬২ রানের মাথায় সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তামিমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন আনামুল হক বিজয়। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর আবার ওয়ানডে ফরম্যাটে মাঠে নামেন বিজয়।
লিটনের সাথে দারুণ ছয় ওভারের মধ্যে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন বিজয়। এরমধ্যে অবশ্য লিটন ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁয়ে শতকের পথে ছুটতে থাকেন। ৭৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া লিটন পরের ১৪ বলে তোলেন ৩১ রান। ৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রান করে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
লিটন ফিরলেও চারে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দারুণ গতিতে ছুটতে থাকেন বিজয়। ৯৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেয়া বিজয় ৬২ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রান করে ভিক্টর নিউইচির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। অভিষিক্ত এই জিম্বাবুইয়ানের এটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট।
বিজয় ফিরলেও টাইগারদের রানের গতি সচল রাখেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরমধ্যে মুশফিকও ফিফটি তুলে নেন। আর রিয়াদ করেন ১২ বলে ২০ রান। ৪ মারেন চারটি।
২০১৪ সালের এশিয়া কাপের ম্যাচে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো কোনো ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। এরমধ্যে আনামুল হক বিজয় করেছিলেন শতক। এরপর গত আট বছরে এমন কীর্তি দেখা যায়নি।
অপরদিকে এই ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে না পারলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে টানা ২০ হারের লজ্জায় ডুবতে হবে সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্লদের।
সময় জার্নাল/এলআর