আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দু’জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন স্থানীয় একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে একটি বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা তিনদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রোববার গভীর রাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। তবে এর আগেই ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান ৪৪ জন ফিলিস্তিনি। গাজা সীমান্তে এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষের অবসানের দু’দিন পর পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটল।
এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, নাবলুসের পুরোনো শহরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। পরে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাবলুস শহরে সন্ত্রাসী ইব্রাহিম আল-নাবুলসি নিহত হয়েছে। তার বাড়িতে অবস্থানকারী আরেক সন্ত্রাসী’ও মারা গেছে।
এএফপি বলছে, আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের একজন কমান্ডার ছিলেন নাবুলসি। এই সংগঠনটি পশ্চিম তীরের প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি যা ক্ষমতাসীন ফাতাহ পার্টির অধীনে কাজ করে।
বার্তাসংস্থাটি দাবি করেছে, ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছুড়লে নাবলুসের অন্যান্য অংশেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক ডজন ইসরায়েলি সামরিক যান নিয়ে আসা হয় এবং পশ্চিম তীরের অন্যতম বৃহত্তম এই শহরে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় ভারী গুলির শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ও বিস্ফোরক ছুঁড়ে মারার পর কিছু সংখ্যক মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলিবর্ষণ করে নিরাপত্তা কর্মীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
তবে সংঘর্ষে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে তারা।
এমআই