এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ স্কাউটস্ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে ‘করোনাযোদ্ধা সনদ’ বিতরণ নিয়ে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইছে। স্কাউটস্ এর ব্যানারে সনদ বিতরণ করা হলেও ওই সনদে স্কাউটস্ এর কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই। নেই স্কাউট লোগোও। স্কাউটিংয়ের সাথে কোনদিন যার সম্পর্ক ছিলোনা, নেই কোন অরিয়েন্টেশন, বেসিককোর্স সনদ, দিক্ষা গ্রহন এমন ব্যাক্তিকেও সনদ দেওয়া হয়েছে ফটোসেশন করে।
ফলে, বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন উপজেলা স্কাউটস্ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন উপজেলা স্কাউটস্ কমিশনার মো. আবু সালেহ ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুমার মিস্ত্রীও। কাউকে খুশি করতে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোণাযোদ্ধা সনদ থেকে বাদ পড়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, এনজিও, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিককর্মী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৮ আগষ্ট ৬০ জন স্কাউট লিডারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত করোনযোদ্ধা সনদ বিতরণ করা হয়। বলা হয়েছে এটি বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর সনদ। অথচ সনদে স্কাউট কর্মকর্তা হিসেবে কারো স্বাক্ষর নেই। নেই স্কাউট মনোগ্রামও।
এ ধরণের সদন বিতরণের পর পরই নানা প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন করোনাকালিন দু:সময়ে সম্মুখ সারিতে থাকা করোণাযোদ্ধারা। এ ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ব হয়ে পড়েছেন সনদ বিতরণী কার্যক্রমের আয়োজক ও নিতি নির্ধারকরা। বির্তকিত এ সনদ বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন সুশিল সমাজ ও স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, স্কাউটস্’র আয়োজনে শুধুমাত্র স্কাউটিংয়ের সাথে জড়িত যারা তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ৬০ জনকে এ সনদ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্কাউটস্ কমিশনার মো. আবু সালেহ বলেন, উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে করোনাযোদ্ধা সনদ বিতরণে তালিকা নির্ধারনের ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রæটি হয়েছে। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেননি।
উপজেলা স্কাউটস্ কমিশনার ও সাধারণ সম্পাদক বিতরণকৃত ওই সনদে স্কাউটস্’র মনোগ্রাম আছে বলে দাবি করলেও তা তারা প্রমান করতে পারেননি। সম্পাদক প্রভাত কুমার মিস্ত্রী এক পর্যায়ে এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
এমআই