মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষীপুর : জেলার রায়পুরে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী। শনিবার দুপুরে উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ফয়েজ উল্যা মিজি বাড়ি, নগদিব বেপারি বাড়ি ও দেওয়ান বাড়ি এলাকার বাসিন্দারা ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের এ কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) রায়পুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেরোয়া ইউনিয়নের এক প্যাকেজে এক কিলোমিটারের তিনটি রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয় মাস চারেক আগে।
কাজটি পেয়েছে লক্ষীপুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিয়াজ এন্ড ব্রাদার্স। তাদের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে রায়পুরের সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কৌশিক সোহেল।
শনিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল ইসলাম মাস্টার, ফারুক রহমানসহ স্থানীয় কয়েকজন সময় জার্নালকে জানান, এ রাস্তাগুলো দিয়ে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন রায়পুর-রামগঞ্জ ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৪ থেকে ৫’শ মানুষ চলাচল করেন। এরাস্তাটি পাকাককরণের টেন্ডার বহুদিন আগে হলেও ঠিকাদার এতদিন কাজ করেনি। করোনা অজুহাতে ঠিকাদার এতদিন না আসলেও হঠাৎ বৃহস্পতিবার (৮এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে এ কাঁচা রাস্তাটিতে নামমাত্র নিম্নমানের বালু ও ইট দিয়ে কাজ শুরু করেন। এসময় গ্রামের লোকজন কাজ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কৌশিক সোহেলের কয়েকজন মিস্ত্রী বলেন, ‘রাস্তার কাজ বন্ধ করার বিষয়টি সাথে সাথে ঠিকাদারকে জানালেও তিনি আসেননি। ইট পরিমাণে কম দিয়েছেন, তবে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ঠিক নয় বলে তারা দাবি করেন।’
রায়পুর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ বন্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বলেছি। যেখানে কাজ খারাপ হচ্ছে, সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা কোনো কথাই শুনলেন না। কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ‘
ঠিকাদার সহকারী কৌশিক সোহেল বলেন, কয়েকজন গ্রামবাসী না বুঝেই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্যা সমাধানে শনিবার রাতে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করা হবে।
এদিকে সরেজমিনে রাস্তায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করার কথা জানালেন রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ।
সময় জার্নাল/আরইউ