স্পোর্টস ডেস্ক:
বিসিবি থেকে কোনোরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। নীতি নির্ধারকদের কেউ অধিনায়ক হিসেবে কারও নামও উল্লেখ করেননি। তবে বাস্তবতা হলো এ মুহুর্তে বিসিবির কাছে সাকিব আল হাসানই সম্ভাব্য সেরা পছন্দ। ধরেই নেওয়া যায়, এশিয়া কাপে সাকিবের নেতৃত্বে মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো শনিবার দল চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী রোববার (১৪ আগস্ট) দল ঘোষণার শেষ দিন। দল ঘোষণার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের দুই দফা বৈঠকে বসার কথা শোনা যাচ্ছে।
শনিবার সকালে বিসিবিতে তিন নির্বাচক, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান এবং টিম ডিরেক্টরের যৌথ সভা নিশ্চিত।
সাকিব ফিরছেন, হয়তো অধিনায়ক হয়েই। এটি যেমন বড় খবর, পাশাপাশি আরও একটি বড় খবরও মিলেছে বৃহস্পতিবার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস ও মিডল অর্ডার ইয়াসির আলী রাব্বির এশিয়া কাপ খেলার সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে সৌম্য সরকারের নাম বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে সাব্বির রহমানের কথাও শোনা যাচ্ছে।
সত্যিই কি তারা অন্তর্ভুক্ত হবেন? এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু অবশ্য নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে বলেছেন, ‘বিকল্প খুঁজতে জিম্বাবুয়ে সফরের বাইরে থেকে ক্রিকেটার নিতেই হবে।’
প্রধান নির্বাচকের কথায় পরিষ্কার, শুধু জিম্বাবুয়ে সফরে দলে থাকাদের ভেতর থেকেই বিকল্প খোঁজা হবে না। বাইরে থেকেও কারও অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে সৌম্যর থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। ওপেনিংয়ে ফর্মে থাকা লিটনের জায়গায় সৌম্যর পূর্ব অভিজ্ঞতা ও সাহসী ব্যাট চালনা বিবেচনায় আসছে। এ বাঁহাতি টপ অর্ডারের অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানা গেছে।
এর বাইরে শোনা গেছে, সাকিব আল হাসানের পছন্দ সাব্বির। তবে সেটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের কতটা মনঃপুত হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ সাব্বিরের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই।
তবে সোহানের জায়গায় একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটারের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জাকির হাসান বা জাকের আলি অনিককে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সময় জার্নাল/এলআর