আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
উদ্বেগে রয়েছেন তসলিমা নাসরিন। সালমান রুশদির ঘটনার পর যেন একটু বেশিই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এই বাংলাদেশী লেখিকা। কারণ গত ১৩ আগস্ট পাকিস্তানে এক বিরাট সভায় মুসলিম ধর্মগুরু নতুন করে তসলিমাকে‘হত্যা’র কথা উল্লেখ করেছেন! ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের জন্য বেশ কয়েকটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে তসলিমার বিরুদ্ধে। নারীর প্রতি নিপীড়ন এবং ধর্মের সমালোচনা করে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন, তার বেশ কিছু কাজ বাংলাদেশে, তার জন্মভূমিতে নিষিদ্ধ। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরেরও বেশি সময় বসবাস করার পর, তিনি ২০০৪ সালে ভারতে চলে আসেন। নতুন ফতোয়া প্রসঙ্গে তসলিমা জানিয়েছেন, ''অতীতে আমার বিরুদ্ধে একাধিক ফতোয়া জারি হলেও এই প্রথম কেউ এত বিশাল সমাবেশের সামনে আমার নাম ঘোষণা করেছে এবং আমাকে হত্যার দাবি জানিয়েছে।এতে কে না বিরক্ত হবে? আমার টুইটার অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলেই বুঝতে পারবেন, রুশদির ঘটনার পর অনেকেই লিখছে, পরবর্তী নিশানা আমি। টুইটগুলো রেখে দেওয়া উচিত নাকি মুছে ফেলব, বুঝতে পারছি না। হয়তো রেখে দেওয়াই ভাল। কারণ আমার সঙ্গে সত্যিই এমন কিছু ঘটে গেলে মানুষ অন্তত জানতে পারবে।
'' আসলে সালমান রুশদির ওপর আক্রমণ হওয়ার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, এমন আঁটসাট নিরাপত্তা ভেদ করে রুশদির উপরে হামলা করার পরে মৌলবাদীরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপাবে। নাসরিনের অভিযোগ, ইসলামের সমালোচনা করা হলে এখনও পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তিনি বলেন, "আমি যদি ইসলামকে যাচাই করি, নিশ্চিত থাকুন, আমার ওপর হামলা হবে। দুঃখের বিষয়, এটাকে সমালোচনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা যেন ভুলে না যাই যে ইসলামী শাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হয়েছে। সমতা এবং ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে আইনের পরিবর্তে, তাদের আলাদা নিয়ম রয়েছে।মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী হওয়ার জন্য শিশুদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। তাহলে আপনি কিভাবে পরিবর্তন আশা করেন?''
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
এমআই