মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বনানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৫ আগস্ট) কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে এ অভিযোগ জমা দেন। তবে ড. বনানী বিশ্বাস দাবি করেন অভিযোগটি ভূয়া।
লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষিদের ডিন ও প্রক্টরকে। এদিকে, পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে এই ধারণায় অভিযোগপত্রে নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় 'আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় এই যে আমাদের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৎ আচরণ করে। কোন বিষয়ে উনার কক্ষে দেখা করতে গেলে উনি থারাপ আচরণ ও অনেক সময় হো আর ইউ? বলে কক্ষ থেকে বের করে দেয়।'
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়- 'শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময়ও শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে। মাস্টার্স এর ২য় সেমিস্টারে সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা একটি কোর্স নিতে চাইলে উনি খারাপ ব্যবহার করে উক্ত কোর্স শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালনা করতে বলেন। বিভিন্ন সময় উনি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়েও শ্রেণী কক্ষে অশালীন কথা বলেন। উনি ব্যক্তিগত, বাসা এমনকি বাজারের কাজেও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন। কোন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করতে গেলে উনি বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের এমন আচরণে মর্মাহত যা আমাদের প্রতিনিয়ত নিরুৎসাহিত করে।'
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জেনে আমি খুবই হতাশ ও মর্মাহত হয়েছি। আমার কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের সাথে আমি কেনো খারাপ ব্যবহার করবো? এ অভিযোগের কোনো একটা কথাও সত্য নয়। আমি জীবনে কোনোদিন কোনো শিক্ষার্থীকে দিয়ে বাজার করাই নাই। আমাকে সকল ব্যাচের সি আর জানিয়েছে তারাও কেউ অভিযোগ করেনি।
সময় জার্নাল/এলআর