সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুু’দেশের মধ্যে ৫০ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারত-তুরস্ক-চীনের মতোই বাংলাদেশের জন্য সুযোগ, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন- বিশেষজ্ঞদের অভিমত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।সময় জার্নাল ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ দেশ রাশিয়া। এক সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়ন আজকের রাশিয়ায় রয়েছে বাংলাদেশের অপার বাণিজ্যের সম্ভবনা। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্প ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ’ বাস্তবায়ন করছে রাশিয়া। বাংলাদেশের হাজার হাজার চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার রাশিয়ায় পড়াশোনা করেছে। বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশটিতে বাংলাদেশের গার্মেস্টস, ওষুধ, চিংড়িসহ সব ধরণের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ আছে। ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলোতে বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য রফতানি করে বাণিজ্য করছে; রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য হলে তার কয়েকগুন পণ্য রফতানি করা যাবে। অন্যদিকে জ্বালানি, গমসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে উঠলে রফতানিতে বাংলাদেশের বড় পরিবর্তন আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া বন্ধু প্রতিম দেশ। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ’ বাস্তবায়ন করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করেছে। যা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর এবং বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণের বড় সুযোগ করে দিয়েছে। ভারত, তুরস্ক ও চীন যে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশের উচিত সে সুযোগ কাজে লাগানো।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের ওই দিনে রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তারপর থেকেই দুদেশের সম্পর্কে বিশেষ গতি পেয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুন্ঠচিত্তে সমর্থন দেয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পরেও চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে রাশিয়া। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ সহযোগিতা দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পরেও মস্কোর সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক ধীরে ধীরে বেড়েছে। এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ’ বাস্তবায়ন করছে রাশিয়া। এছাড়া গ্যাস কূপ খনন ইত্যাদি খাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে।
আগামী দিনেও দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’দেশেরই শীর্ষ নেতারা। এদিকে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ১২শ’ বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করে বা সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কারণে দেশটির অর্থনীতি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। যদিও দ্রুতই সে অবস্থা কাটিয়ে ওঠে রাশিয়া। এর বড় কারণ রাশিয়ার জ্বালানি তেলের মজুদ এবং তা বিক্রিতে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা রুবলে কেনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বিপর্যস্ত। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে আমদানি কমাতে হয়েছে এবং এর কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রায় দেড়গুণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যয় কমপক্ষে ৩০ ভাগ বেড়ে গেছে। কিন্তু এই খরচের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আর তাই জ্বালানি সঙ্কটজনিত দুর্ভোগ এড়াতে সম্প্রতি রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কেনার সম্ভাব্যতা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এখন রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনতে হয় এবং রাশিয়ার শর্ত অনুযায়ী রুবলেই লেনদেন করতে হয়, তাহলে ঠিক এই মুহূর্তেই সেটি করতে পারা কঠিন হবে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট মানুষেরা। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য খুবই কম। বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়লে রুবলের মাধ্যমে লেনদেনের একটি পথ খুলতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আমদানির পাশাপাশি রফতানির পরিমাণও বাড়াতে হবে। এ জন্য দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোড়ালো করতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিময়ে গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে একটি উপায় হতে পারে মূল্য পরিশোধে কারেন্সি সোয়াপ ব্যবস্থা মানে টাকার পরিবর্তে রুবল দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করা। এতে আমদানির পাশাপাশি দেশের রফতানির বাজারেরও প্রসার হবে। দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে বড় সুযোগ তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা রাশিয়ায় ওষুধের বাজার খুঁজছি কারণ নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়াতে ওষুধের সল্পতা দেখা দিয়েছে। তাদের ওখানে ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে গম আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সার ও অন্যান্য পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। আর বাংলাদেশের জন্য রফতানি খাতের মধ্যে সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্প। তাই রাশিয়ায় নতুন করে ওষুধ রফতানির সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে কোনটাতে স্যাংশন আছে কোনটাতে স্যাংশন নাই এগুলো নিয়ে আমরা ভাবছি।যেটাতে স্যাংশন নাই সেটা আমরা ইজিলি নিয়ে আসতে পারি। তেলের ব্যাপারে স্যাংশন আছে। ওটা তো স্যাংশনের বাইরে আনতে পারবো না। তিনি বলেন, ওষুধ কীভাবে রাশিয়াতে রফতানি করা যেতে পারে সেটা নিয়ে আমরা কিছু সুপারিশ করেছি। কারণ স্যাংশনের পরে রাশিয়াতে ওষুধের ঘাটতি হচ্ছে। তাদের ওখানে ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এটা আমাদের একটা সুযোগ। আমদের কিছু কিছু রেজিস্ট্রেশন ব্যাপার আছে। আমরা যদি দ্রুততার সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করতে পারি তাহলে আমরা পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, খাদ্য আর সার স্যাংশনের বাইরে। সেখানে অন্য মুদ্রা লাগবে না। ডলারেই আমরা আমদানি করতে পারবো। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত থাকার পরও, আমদানিতে কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সরকার রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করবে।
রাশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল ইনকিলাবকে বলেন, বন্ধু প্রতিম দেশ রাশিয়া। দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ’ বাস্তবায়ন করছে দেশটি। তারপরও বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করেছে। যা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর এবং বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণের বড় সুযোগ করে দিয়েছে। এখনই সেই সময়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, তুরস্ক ও চীন ইতোমধ্যে এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। বাংলাদেশের রফতানি বাজারের জন্যও বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সময় এসেছে।
বাংলাদেশ থেকে যেমনÑ গার্মেন্টস, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ (চিংড়ি), নতুন আলু, শবজিসহ অন্যান্য পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশও যদি টাকা ও রুবলের বিনিময়ের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি বাড়ানো সম্ভব হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে। এছাড়া দেশ থেকে ওষুধ রফতানিরও সম্ভাবনা আছে। তবে কমপ্লায়েন্স মেনে এখনই সম্ভব নয়। তাই কমপ্লায়েন্স ছাড়া যেসব ওষুধ এখনই রফতানি করা যায় সে সুযোগও নিতে পারে বাংলাদেশ।
সূত্র মতে, দেশের চাহিদার প্রায় পুরো তেলই মূলত আমদানি করে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো থেকে। কিন্তু ওই সব দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রায় দেড়গুণ করেছে। এ জন্য বাংলাদেশ কম দামে তেল কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এই মুহূর্তে আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ এবং রফতানি আয় ঘরে তোলা দুই ক্ষেত্রেই লেনদেন হয় প্রধানত মার্কিন ডলারে। এর বাইরে পাউন্ড, ইউরো, চীনা ইউয়ান, এবং জাপানি ইয়েনেও লেনদেন হয়। তাই রুবল বা বিকল্প কিভাবে রাশিয়া থেকে আমদানি করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে রুবলের কোন রিজার্ভ নেই। কারণ বৈদেশিক লেনদেনে এখনো রুবল ব্যবহার করা হয় না। দুই দেশের মধ্যে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ একদিকে কম, অন্যদিকে সেটা ডলার কিংবা ইউরোতে শোধ করা হয়েছে এতদিন। এর বাইরে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দুই দেশের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও রুবলে হয় না। এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় এলসি খোলা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে। সেই ঋণপত্রও খোলা হয়েছে মার্কিন ডলার এবং ইউরোতে। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা বিনিময় চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, রুবল যেহেতু কনভার্টেবল না, সে কারণে তৃতীয় কোন মুদ্রায় কনভার্ট করে তারপর মূল্য পরিশোধ করা যাবে। এক্ষেত্রে চীনের ইউয়ান একটি বিকল্প হতে পারে। আরেকটি বিকল্প হতে পারে, রাশিয়ার সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি অংশ দ্বিপাক্ষিক বিনিময়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা। দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এটি করতে পারার এখন বড় সুযোগ। তবে, এ সবই সম্ভাব্য ব্যবস্থা। কিন্তু বাস্তবে কার্যকর করতে হলে বাংলাদেশকে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি সম্প্রতি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ২০১০ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুনমাত্রা পেয়েছে। যার ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাস কূপ খনন ইত্যাদি খাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা খাতেও সহযোগিতা অব্যাহত আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে এলএনজি ও ক্রুড অয়েল সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে। সার, গম ইত্যাদি পণ্য রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হয়। ২০২১ সালে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের রফতানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে আরএমজির পাশাপাশি হিমায়িত মৎস্য ও অন্যান্য পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে লজিস্টিকস, ব্যাংকিং চ্যানেল, ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান যা উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল