আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
১৯১২ সালের বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক। হোয়াইট স্টারলাইন সংস্থার যাত্রীবাহী জাহাজ আরএমএস টাইটানিকই বিশ্বের ইতিহাসের সবথেকে বড় জাহাজ ছিল। সেই সময় কেউ ভাবতেই পারেননি, এই জাহাজ কখনও ডুবে যেতে পারে। ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর মার্কিন নৌবাহিনীর কর্তা তথা সমুদ্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবার্ট ব্যালার্ডের নেতৃত্বাধীন একটি দল, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ৩,৮০০ মিটার গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিল। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাওয়ার পথে, প্রথম সমুদ্রযাত্রাতেই ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। রেকর্ড অনুযায়ী মোট ১,৪৯৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। ব্যালার্ডের অভিযান ছিল অত্যন্ত গোপন মার্কিন সামরিক অভিযান। যে অভিযানের বিশদ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই গোপন অভিযান এবং ঘটনাক্রমের অদ্ভুত মোড়, অবশেষে মার্কিন নৌবাহিনীর কর্তাদের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ দিয়েছিল। আসলে ওই অঞ্চলে, টাইটানিকের সলিল সমাধির আরও বেশ কয়েক দশক পরে ডুবে যাওয়া দুটি পারমাণবিক সক্ষম ডুবোজাহাজের সন্ধান করছিল আমেরিকা।
ইউএসএস থ্রেসার এবং ইউএসএস স্করপিয়ান নামে ওই দুই ডুবোজাহাজের সন্ধান রাশিয়ার পক্ষে উস্কানিমূলক হতে পারত। আসলে টাইটানিকের আড়ালে পারমাণবিক সক্ষম ওই দুই ডুবোজাহাজ খুঁজছিল আমেরিকা। অফিসার ব্যালার্ড বলেছিলেন: "আমেরিকা চায়নি যে বিশ্ব এটি জানুক, তাই আমাকে টাইটানিক নিয়ে একটি কভার স্টোরি করতে হয়েছিল।"যা, অদ্ভুতভাবে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়। ঘটনাক্রমে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন ব্যালার্ড। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী ডুবোজাহাজগুলির সঠিক অবস্থান জানত। কিন্তু, সেগুলি থেকে পারমাণবিক অস্ত্রাদি উদ্ধার করে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময়, যাতে রুশ নৌবাহিনী তাদের পিছু না নেয়, তারই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্যালার্ডকে। ব্যালার্ড মেনে নিয়েছেন, টাইটানিকের সন্ধান সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অমনোযোগী ছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁরা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পান।
সূত্র : dailystar.co.uk
এমআই