নিজস্ব প্রতিবেদ, সময় জার্নাল : মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।এই আট দিন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। তবে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান-সংস্থা খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। সীমিত পরিসরে দেয়া হচ্ছে ব্যাংকিং সেবাও।
এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা-বেচা করা যাবে ছয় ঘণ্টা। সার্বিক বিষয়ে তদারকি ও কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে প্রশাসন।
তাই মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:
১. জরুরি সেবাদানকারীরা ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব বন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
২. আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট জারি করবে।
৩. অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক, সব ধরণের যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। তবে, চালু থাকবে জরুরি পণ্য পরিবহণ।
৪. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে। নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
৬. খাবারের দোকানে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। বন্ধ থাকবে শপিং মল, মার্কেট ও অন্যান্য দোকান।
৭. কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
৮. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
৯. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১০. স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবেন।
১১. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।
১২. এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারে।
অপরদিকে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলাকালীন জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে লকডাউনে বিশেষ কয়েকটি কারণে এবং পুলিশের দেয়া ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যাবে না।
সময় জার্নাল/আরইউ
