বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ওভারে ফজলুল হক ফারুকির বলটা লং অফের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যেতেই হেলমেট খুলে ফেললেন নাসিম শাহ। দৌড়াতে শুরু করলেন আনন্দে। ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি যে পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলে ফেললেন।
নাসিম শাহের নামের পাশে লেখা থাকে বোলার। তার বোলিং এবারের এশিয়া কাপে কাঁপিয়ে দিয়েছে লোকেশ রাহুলদের। কিন্তু বুধবার ব্যাট হাতে তার দুটি ছয় না থাকলে পাকিস্তানের ফাইনালের ওঠার পথ কঠিন হয়ে যেতে পারত।
রবি শাস্ত্রী ম্যাচ শেষে নাসিমকে যখন বললেন, 'আজ থেকে তো তুমি বোলার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে গেলে।' শুনে এক গাল হাসি দেখা গেল নাসিমের মুখে। স্বস্তির হাসি। দেশকে ফাইনালে তোলার হাসি। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করলেন বার বার। ১৯ বছরের তরুণ নাসিম যে তখনো বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তিনি পেরেছেন।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফগানিস্তানের দিকেই ঝুঁকে পড়েছিল জয়ের পাল্লা। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ১১ রান। হাতে উইকেট মাত্র একটি। স্বীকৃত ব্যাটার কেউই নেই।
এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন নাসিম। ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো পাকিস্তান।
নাসিমই টি-টোয়েন্টির ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি ১০ বা ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে পরপর ২টি ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচ জেতালেন। রান তাড়া করতে গিয়ে এর আগে দশ বা এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কেউ এটা করতে পারেননি।
এর আগে আফগানিস্তানের ইনিংসের সময় নাসিম শাহ ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন। সেই সঙ্গে এই ফরম্যাটে তার উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০।
একজন পেসার হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সে ৫০টি উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড এখন নাসিমের। ১৯ বছর ২০৪ দিন বয়সে তিনি ৫০টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল তারই স্বদেশি শাহিন শাহ আফ্রিদির।
সময় জার্নাল/এলআর