আজাহারুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি: 'আপনেরা এতোদিন কনে ছিলেন! আমি জীবনেও কলম চক ধরিনি। আরও আগে আপনেরা আসলি আমি আগেত্তে নাম লেখা শিখতি পারতাম। আমার মেলা দিনের শখ নাম লেখা শেখবো। আপনাগের জন্যি আইজকে নাম লেখা শিখতি পারলাম।' এভাবেই জীবনে প্রথম লেখার অনুভূতি ব্যক্ত করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মালা খাতুন।
বৃহস্পতিবার 'আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস' উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মঞ্চে দিনব্যাপী সাক্ষরতা অভিযান ও শিক্ষা উপকরণ কর্মসূচি আয়োজন করে ইবি তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ডাইনিং, বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত কর্মক্ষম নিরক্ষর ব্যক্তিদের সাক্ষরতা শেখানো ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে শাখা সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ ও শাখা সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা আকাশের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস, সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী খাতুন, দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমানসহ অন্য কার্যনির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দিবসটিকে ঘিরে করে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান প্রদানে শিক্ষিত সমাজকে উদ্বুদ্ধকরণ, বয়স্কদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন উল্লেখযোগ্য।
সংগঠনটির সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শতভাগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শিশু, নারী, কিশোর, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিকল্পে আমাদের সাক্ষরতা অভিযান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচির এই আয়োজন।
এমআই