আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে ভাঙা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তাছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে দেশটি। অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, বিশ্বে ১৫০টি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। তাই তাদের যেকোনো ধরনের বিধিনিষেধে খাদ্যের বাজারে চাপ বাড়তে পারে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়তে পারে চালের দাম। তাছাড়া তীব্র খড়া ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশে দেশে গুরুত্বপূর্ণ এ পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে।
তবে রপ্তানিতে নতুন নিয়মের কারণে আমদানিকারকরা ভারতের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকতে পারে ক্রেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য চালে শুল্ক বসালেও সিদ্ধ ও বাসমতি চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেনি দেশটি। সম্পূর্ণ ভাঙা চাল রপ্তানিতেই মূলত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব ভাঙা চাল আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো আমদানি করতো।
এর আগে ২৮ আগস্ট একটি সূত্র জানায়, সরকার ভাঙা চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দেওয়ার জন্য আলোচনা করছে, যা ভারতের রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন ও খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসবে বলেও জানানো হয়।
বৈশ্বিক চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। ফলে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বিশ্বের অনেক দেশ বেকায়দায় পড়বে। বিশেষ করে যেসব দেশে এরই মধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল এশিয়ায় উৎপাদন ও খাওয়া হয়।
সময় জার্নাল/এলআর