স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এই ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি আবারও ক্ষমতায় থাকতে ভারতে গিয়েছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না। তিনি বলেন, ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণকে ওপর, জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং ক্ষমতার উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি, সেকারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সাথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ভারত নাকি আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি শুনেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত এবং ৭১'এর চেতনায় বিশ্বাসীদের সাথে থাকবে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব কি বুঝলেন? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুঃসময়ের, ভারত আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক বিএনপিসহ যারা করেছিল তারা বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুভব করেছিলেন যে ভারতের সাথে বৈরিতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি এবং সে কারণেই ২১ বছরের যে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল- তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত সমস্যার বাস্তবতা এবং ছিটমহল বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
এমআই