শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ব্যক্তি মালিকানা জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের তালুকদার পরিবার।
আজ বুধবার বিকালে আরাজি শেখ সুন্দর এলাকায় আবুল কালাম আজাদ তালুকদারের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইউএনও’র দাবী ব্যক্তি মালিকানা নয় সরকারি জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসত বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম আজাদ তালুকদারের পুত্র নাজমুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ওই এলাকায় ১৮১ এস এ খতিয়ানের জমিতে ৮ একর ৪৭ শতক জমি পৈতিক সুত্রে আমার পরিবার ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু এস এ খতিয়ানে কিছু জমি ভুলবশত অন্য এক ব্যক্তি ও সরকারের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়।
বিআরএস খতিয়ানেও ওই জমি খাস খতিয়ান ভুক্ত হয়। এ নিয়ে আমরা আদালতের আশ্রয় গ্রহন করি। আমাদের পক্ষে একটি রায় হয়েছে। অপর একটি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) শামীমা সুলতানা ওই জমিতে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের বসত বাড়ি নির্মাণের কথা বলেন। আমরা জমির স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তিনি তা না দেখিয়া ফসলী জমি মেরে ফেলার নিদের্শ প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল ইসলাম তালুকদার দাবী করেন, ওই জমি যেহেতু আমার পরিবার পারিবারিক সুত্রে মালিক এবং আদালতে মামলা রয়েছে। সেহেতু ওই জমিতে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, এস এ’র পাশাপাশি বিআরএস খতিয়ানেও ওই জমি খাসভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ওই জমির মালিকানা দাবী করে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আদালতে মামলা করে নাই। সেহেতু সরকারী জমিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভুমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের বসত বাড়ি নিমার্ণ হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এমআই