মোঃ মিরাজুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
হাসিবুর রহমান। পড়াশোনা করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষে। পাশাপাশি নিজের একটা পরিচয় করে নিয়েছেন উদ্যোক্তা হিসেবে।
হাসিব বলেন, ছোট থেকেই ফুটবল ফ্যান আমি। তো সেই হিসেবে জার্সির প্রতি ঝোঁকটা বরাবরই। পছন্দের ক্লাবের জার্সিগুলার পাশাপাশি অনান্য ক্লাবের জার্সিও সংগ্রহে রাখতাম। কিন্তু ভালো মানের জার্সির জন্য আমার ঢাকা থেকেই কিনতে হতো। যখন ঢাকা যেতাম, একবারে বসুন্ধরা থেকে সব নিয়ে আসতাম। করোনার মধ্যে ঘরেই বসা আমরা। তো কি করা যায় ভাবতে ভাবতে হুট করে এই জার্সির বিজনেস করার প্লানটা মাথায় আসলো। বিজনেসের থেকে এটাকে শখ বলাই ভালো। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের জমানো কিছু টাকা দিয়েই প্রথম শুরু করা। জার্সি অ্যারেনা (Jersey Arena) নাম দিয়েই যাত্রা শুরু।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারে খুব কম মানুষ। এতে ঝুঁকি থাকবেই, তবে মনকে সেভাবেই গড়তে হবে। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন মনের মাঝে সৃজনশীলতা, নেতৃত্বের ক্ষমতা এবং আকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলা। বিষয়টি অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। হুট করে জার্সি নিয়ে কাজ করা,অনলাইনে বিশ্বস্ততার একটা ব্যাপার থাকে। সকলের থেকে সেই বিশ্বাস অর্জন করাটা ছিলো আমার অন্যতম পাওয়া।
অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর যে, বন্ধু বান্ধব,সিনিয়র সকলের থেকেই কম বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। সকলের সহযোগিতায়ই এগিয়ে যাচ্ছে Jersey Arena।
প্রথম দিকের পথচলা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথম প্রথম পরিবার অনেকবার নিষেধ করছিলো। কিন্ত এই কাজটা আমার শখের বসেই করা। নিজের পড়াশোনা ঠিক রেখে বিজনেসটাও আগায় নিছি৷ এখন সবাই সাপোর্ট করে।
ব্যবসায়ের পরিসর সম্পর্কে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুব ভালো অবস্থানেই আছি আমরা। তিন হাজার মেম্বারের গ্রুপ এখন আমাদের। প্রথম যখন জার্সি আনি, মাত্র ৩০ টা জার্সি দিয়ে শুরু করি। এখন মোটামুটি প্রতি মাসে ১৫০-২০০ জার্সি সেল করা হয় আমাদের। এ পর্যন্ত এই ছোট প্লাটফর্ম থেকে দুইজন ডেলিভারি ম্যানের কাজ আমরা দিতে পারছি।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, খুলনার মধ্যে ভালো মানের স্পোর্টস শপ নাই,যেখানে সব ধরনের স্পোর্টস আইটেম পাওয়া যায় সব সময়। ইনশাআল্লাহ খুলনায় সব থেকে বড় এবং ভালো মানের স্পোর্টস শপ আমরা দিবো। খুলনার মানুষেরা একটা ভালো মানের স্পোর্টস শপ ডিসার্ভ করে। আমরা সেই অভাবটাই পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ।
এমআই