ইলিয়াস হোসেন : প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে গত এক বছরে দেশের দেড় শতাধিক ডাক্তার প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবলিটি (এফডিএসআর) এর চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। বৃহস্পতিবার সময় জার্নালকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
সময় জার্নাল প্রতিবেদক জানতে চান, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে এত সংখ্যক চিকিৎসক করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন কি-না? এর জবাবে, ডা. মিল্টন বলেন, সেটা শুরুর দিকে অনেক বেশী প্রকট ছিল। বর্তমানে হাসপাতালে কোভিড রোগীর চাপ এত বেশী যে, অধিক পরিশ্রম করার ফলে চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময়ই নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে পারেন না। এর ফলেও চিকিৎসকদের আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ডাক্তার মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারী অধিকাংশ ডাক্তারই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন, সেদিক দিয়েই আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
এফডিএসআর এর চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডিউটিরত ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্যদের আবাসন ও যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এ বছরও এই সুবিধাগুলো জরুরী ভিত্তিতে চালু করা উচিত। এখন পর্যন্ত আমাদের ডাক্তার-নার্সরা বাসা থেকে হাসপাতালে ডিউটি করছেন। এর ফলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনার ঝুঁকিতে পড়ছে।
ডা. মিল্টন দুঃখ করে বলেন, গত বছর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডিউটিরত ডাক্তারদের প্রণোদনা দেবার কথা ছিল। আজ অব্দি হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই ডাক্তারই সেই প্রতিশ্রুত প্রণোদনা পায় নি। প্রণোদনা মানে শুধু টাকার অংকই নয়, এটা একটি স্বীকৃতিও।
করোনাকালিন লকডাউনের সময় হাসপাতালে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রেও ডাক্তাররা নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছে, এটি কাঙ্খিত নয়। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।
হাসপাতালে ডিউটি করার সময় ডাক্তারদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবলিটি (এফডিএসআর) এর চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন।
সময় জার্নাল/ইএইচ