আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। দেশটির অভিযোগ, রাশিয়ার ওই হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে বেসামরিক গাড়ির একটি কনভয়ে গোলাবর্ষণের জন্য মস্কোকে দোষারোপ করেছে ইউক্রেন। এতে ২৩ জন নিহত হয় এবং তারা গাড়িবহরের সামনের সারিতে ছিলেন।
জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সান্ডার স্টারুক বলেছেন, হামলায় আরও ২৮ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই বেসামরিক লোক, স্থানীয় মানুষ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য জাপোরিঝিয়ায় রুশ-অধিকৃত অঞ্চলে ক্রেমলিনপন্থি এক কর্মকর্তা এই হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করেছেন। এছাড়া হামলার পেছনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতাও অস্বীকার করেছেন তিনি।
ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ চালানোর অভিযোগ তুলে ভ্লাদিমির রোগভ নামের ওই কর্মকর্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ান সেনাদের গোলাবর্ষণে যা ঘটেছে বলে কিয়েভের শাসক তুলে ধরার চেষ্টা করছে তা আসলে একটি জঘন্য উস্কানি।’
তবে জাপোরিঝিয়ার গভর্নর বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী ‘আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পথে বেসামরিক মানবিক গাড়িবহরের ওপর রকেট হামলা চালায়। লোকেরা অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার জন্য, তাদের আত্মীয়দের নিতে এবং সাহায্য নিয়ে যাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।’
গভর্নর ওলেক্সান্ডার স্টারুক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। সেখানে বিধ্বস্ত গাড়ি এবং কাছাকাছি পড়ে থাকা বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে।
এএফপি বলছে, ইউক্রেনের অন্যতম শিল্পকেন্দ্র জাপোরিঝিয়া বর্তমানে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে এই শহরটির জনসংখ্যা ছিল ৭ লাখ এবং বর্তমানে এই অঞ্চলটি প্রায়ই রাশিয়ার রকেট হামলার শিকার হচ্ছে।
অবশ্য এই অঞ্চলের কিছু অংশ মস্কোর দখলে রয়েছে এবং ক্রেমলিন শুক্রবার মস্কোতে একটি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
এমআই