আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গোলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সর্বভারতীয় কংগ্রেসে কী বিদ্রোহের আগুন জ্বলা বন্ধ হয়েছে? কোথায় গেল সেই জি টোয়েন্টি থ্রি নেতাদের আস্ফালন? কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে গান্ধী পরিবারকে সরতে হবে- এই ছিল জি টোয়েন্টি থ্রি নেতাদের দাবি। সেই দাবি মেনে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা পড়েছে দুটি- গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত মল্লিকার্জুন খার্গে এবং কেরলের নেতা শশী থারুর। গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদ খার্গের ওপর। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারাও খার্গের পক্ষে। তাই তাঁর নির্বাচনে জেতা এখন সময়ের অপেক্ষা। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরও বলছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এই লড়াইতে আমি শুধু নিজের ভাবনাকে প্রতিভাত করার উদ্দেশ্য নিয়ে লড়ছি। মল্লিকার্জুন খার্গে যে গান্ধী পরিবারেরই ডামি ক্যান্ডিডেট তা জানেন সব কংগ্রেস নেতাই। কার্যত খার্গে কে সামনে রেখে কংগ্রেস এর শাসন চালাবেন সোনিয়া-রাহুল গান্ধীই। ১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম গান্ধীরা কেউ সভাপতির পদে বসছেন না। জি টোয়েন্টি থ্রি নেতাদের দাবি হয়তো প্রতিষ্ঠিত হলো।
কিন্তু আসল চাবি কাঠি থাকলো গান্ধী পরিবারের হাতেই। জি টোয়েন্টি থ্রির নেতাদের অনেকেই ড্যাং ড্যাং করে খার্গের মনোনয়ন জমা দেওয়ার উৎসবে মাতলেন। তাই, প্রশ্ন উঠলো, কোথায় গেল সেই বিদ্রোহের আগুন?
এমআই