দিনশেষে, আজ সহ্য করা শিখে গিয়েছি।। রিতু কুন্ডু
তোমরা যখন সন্তান কেড়ে নিয়ে বললে,
'এ এক কঠিন খেলা' তখনই সহ্য করা শিখে গেছি সব
আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞজনেদের পাতা ফাঁদ, তোমাদের হাসি তামাশায় এক এক করে আমাকে
রিক্ত করার গল্প, শুরু থেকেই আমি তা সহ্য করেছি।
তুমি ভাবো প্রতিদিন প্রতিক্ষণ তিলে তিলে
আমাকে মারবে, মৃত্যু আসবে না, তবুও
আমি হব মৃত এক কায়া, এতেই তোমার আনন্দ!
ভালোবাসাগুলো শতগুণ কষ্টে ফিরিয়ে
দেয়াতেই তোমার সুখ! আমিও তোমাকে
অসুখী করি নি তাই। এ ছিল আমার সফলতা,
তোমরা সুখী হবে বলে, তিলে তিলে
মৃত্যুটাকেই আমি সহ্য করেছি, অথচ তুমি বিফল হলে,
প্রাণের বিনিময়ে নিজেরে মহান করে রচিলে।
ছুড়ি কাচি গজের নিচে রেখে এ তনু, তোমাদের পথ আমি ধুয়েমুছে দিয়েছি, যত বাঁধা ছিল রক্তের ফুলে গড়েছি ফুলশয্যা, সে ডালিতে সেজেছো তোমরা,
সেজেছে তোমার ঘর, জঠরের আঘাতে জঠরের ফুল
দিয়ে তৈরি করে দিয়েছি এক নব সরোবর।
আজ কিছুতেই তাই কোন ক্ষোভ নেই, কষ্ট নেই,
দুঃখ নেই। তুমি ঘরের আগোল আটকে
ফন্দি কর, আমাকে আর কিভাবে পোড়াবে!
আর কতটা পথ পাড়ি দিলে, তোমার প্রতিশোধ শেষ হবে, আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলে সব আশ
মিটে যাবে, আর কতটা আঘাতে মিথ্যা
হিসাবের নামে সে অন্যায়ের শেষ হবে!
দরজার বাহিরে বসে থেকে সেই অভিশাপের মুহূর্ত গুণি, বসে বসে টিকে থাকার চিহ্নগুলো টানি
তোমার কাপুরুষতার আস্ফালনে
হিসাবের গরমিল খুঁজি।
নতুন যুদ্ধের বিউহ্বল সুর তোলে সকরুণ
তানপুরার তার কেটে শুরু হয় দামামার গান,
যে সংগীতে আছে পিশাচের উল্লাস,
সে সংগীতে আছে শুধু ধ্বংসের তান।
পৃথিবীতে প্রেমিকের ক্ষয়ে যাওয়া মন,
অবিশ্বাসী মানুষের গল্পের ক্ষণ,
কোন এক মিথ্যা অহমিকায়
দিনশেষে প্রতারণা করে গেছো রোজ।
অবুঝ ছিলো যে সে বোঝেনি জীবন,
পথে পথে ছড়িয়েছো শুধু অপমান, অভিযোগ।
নিজের চরিত্রকে সাজিয়েছো হত্যা করে মাতৃত্ব
পিতা-স্বামী-মানুষ হিসেবে সেদিনই হয়েছো অযোগ্য।
ভুলে গেছো মানবের সাথে হয়, মানবীর ভালোবাসা!
মানবী ছিলাম তাই ভেবেছিলাম
তুমিও ছিলে কোন এক মানব আত্মা!
দিনশেষে, যুগ আগে স্মৃতিচারন করি!
নতুন তুমির সাথে পুরাতনের পরিচয় করি
দেখতে পাই সেদিনও কলুষিত ছিলে, ছিলে আমারই অযোগ্য, আজ তাই কলুষিত মনই খু্ঁজে নিলে,
তারই যোগ্য তুমি শুরু থেকেই ছিলে।
লেখক :রিতু কুন্ডু (রিভার্টেড), শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
সময় জার্নাল/আরইউ