নিজস্ব প্রতিবেদক, সময় জার্নাল : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে জারি রয়েছে 'কঠোর বিধিনিষেধ'। রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই এই বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রমজান মাসের তৃতীয় দিন।
এ দিনে নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই মানুষ বাজারে ঢুকছে, বের হচ্ছে। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে নিজেদের চাহিদামতো পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দামও।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব সবজির দাম।
বাজারটিতে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গাজর ৩০-৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, সাজনা ৫০-৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে পাকা টমেটো ও শসার। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বেড়ে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর ৩০-৪০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, 'সবজির দাম এমনিতেই বাড়ছিল। রোজার কারণে দাম আরও বেড়েছে। সহসা সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই।'
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজিরশাহ ৬৫-৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮-৫০ টাকা ও পোলাও চাল ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকায়।
সোনালি (কক) মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২১০-২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।
এদিকে দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা তারা বলেন, 'রোজা ও করোনা এ দুই মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বেতন তো কমতাছে কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়তাছে। আমাদের যে বেতন তাতে কিছুদিন পর ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।'
সময় জার্নাল/আরইউ