এম.পলাশ শরীফ,বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা গ্রহন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ চলছে। জনবল সংকট থাকা সত্বেও জনগনের দ্বার প্রান্তে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে চিকিৎসক যাচ্ছেন রোগীর বাড়িতে।
লকডাউনের ৩য় দিনে শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা গেছে, কোভিট-১৯ করোনা টিকা নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। স্বেচ্ছায় সকলে এখন হাসপাতাল মুখি, গ্রহন করছেন টিকা।
জানাগেছে, উপজেলায় প্রথম রাউর্ন্ডে ৬ হাজার ৯৭০ জন টিকা গ্রহণকারীরা দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১১শ’ জন টিকা গ্রহন করেছে। গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৬৯জন। কোভিট-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীর। এ সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতালে বিভিন্ন পদে জনবল সংকট থাকলেও থেমে নেই কোন কার্যক্রম। মোবাইল ফোনেও চিকিৎসা মিলছে এ হাসপাতালে। করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য অনেক রোগীর বাড়িতে যাচ্ছেন চিকিৎসক। হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন বিভাগ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছে টিএইচও ডা. কামাল হোসেন মুফতিসহ ৮জন চিকিৎসক। স্বেচ্ছাসেবক ২১ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স ৬জন, ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচ সিপি ৪৯জন, এইচ এ ২৮ জন, এ এইচ আই ৫জন, এইচ আই ১ জন ও এসসিএমও ১৭ জন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ইপিআই) দিপক কুমার রায় বলেন, গত ৫ বছর ধরে ল্যাব টেকনিশিয়ান দুটি পদ শূন্য থাকায় তার একার পক্ষে একদিকে করোনা টিকার রেজিষ্টেট মেইনটেন্ড, অন্যদিকে নমুনা সংগ্রহে ল্যাবের যাবতীয় কার্যক্রম কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ২ জন টেকনিশিয়ান প্রয়োজন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, সাড়ে ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে। তারপরেও র্সাবক্ষনিক চেষ্টা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের দ্বার প্রান্তে স্বাস্থ্য সেবা পোঁছে দেওয়ার। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা টিকা গ্রহণের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। সপ্তাহে ৩ দিন নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পূর্বের চেয়ে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট সচেতন হয়েছে, স্বেচ্ছায় টিকা গ্রহণ করতে আসছেন তারা কেন্দ্রে।
সময় জার্নাল/এমআই