আসাদুজ্জামান জিহাদ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ:
শনিবার ( ৮ অক্টোবর, ২০২২) স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার ।
আজ ভোর ৩ টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে স্ট্রোক করে ভর্তি অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর।
অধ্যাপক ড. হেমায়েত উদ্দিননের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষক পরিষদ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি।
জানা যায়, অধ্যাপক ড. হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার সোহরাওয়ার্দী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালের ১২ মার্চ ঝালকাঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৬ তম বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
তিনি অত্যন্ত ধার্মিক, সজ্জন, অন্যের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতা সম্পন্ন ও নীতিবান একজন ব্যাক্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া একমাত্র ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের রেখে গেছেন।
ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত ৩ টায় মারা যান। (ইন্না- লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক অধ্যাপক কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, "হেমায়েত স্যারের বাসায় গিয়ে আর স্যারকে শেষ বারের মতো দেখা পায়নি। ফজরের নামাজ শেষে এখানে জানাজা করে নিজ গ্রামের বাসা ঝালকাঠি নিয়ে গেছে।
বাদ যোহর নামাজের পর তার নিজ গ্রামের বাসায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর বলেন, "তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার জ্ঞান, শিক্ষাব্রততা, বৌদ্ধিক ঋদ্ধতা সর্বজনবিদিত। তার অকাল প্রয়ানে আমাদের শিক্ষার ও বুদ্ধির চর্চা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি সাদিত হলো। "
তিনি আরো বলেন, "তার সাথে আমার পরিচয় বহু বছরের। দেখা হলেই স্মিত হাসি দিয়ে সম্বোধন করে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতো।সে ছিল শিক্ষা ক্যাডারের অন্তঃপ্রাণ। কয়েকমাস আগে আমাদের কলেজে বদলি হয়ে এসেছে। তাকে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত ছিলাম। আজ তাকে হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে গেলাম। আমাদের কলেজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। "
আমরা সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকের পক্ষ থেকে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং মহান আল্লাহ তায়া’লা তাকে জান্নাত দান করুক এই কামনা করছি।
এমআই