বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

টুঙ্গিপাড়ায় ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগ, ফার্মেসীতে মিলছে না ড্রপ

সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০২২
টুঙ্গিপাড়ায় ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগ, ফার্মেসীতে মিলছে না ড্রপ

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ঘরে ঘরে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। গত ১৫ দিন ধরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পরিবারের কোন সদস্য চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে পরদিন অন্য সদস্যারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চোখের এই ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে মানুষ ভীড় করছে হাসপাতাল সহ চোখের চিকিৎসা কেন্দ্র ও গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছে। কিন্তু রোগীরা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলেও মিলছে না চোখের ড্রপ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

জানা যায়, ড্রপের সাথে সাথে চাহিদা বেড়েছে কালো চশমার। কারন কোন ব্যক্তি চোখ ওঠা ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেই তিনিও আক্রান্ত হচ্ছেন এই ছোঁয়াচে রোগে। ঔষধ ব্যবসায়ীদের দাবি কোম্পানী গুলোতে অর্ডার দিলেও মিলছে না চোখের ড্রপ।

উপজেলার পাটগাতী বাজারের চোখের ড্রপ কিনতে আসা মচন্দপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ৪ দিন আগে হঠাৎ করে চোখ লাল ও ব্যাথা অনুভব হয়। পরের দিন চোখ ফুলে ওঠে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে অনেকগুলো ফার্মেসী ঘুরেও ড্রপ পেলাম না। বেশি টাকা দিতে চাইলেও মিলছে না ড্রপ। 

উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের জাহিদ হোসেন বলেন, পরিবারের একজনের চোখ ওঠার পর একদিনের ব্যবধানে সবাই এই রোগে আক্রান্ত হয়। তখন উপজেলার বেশ কয়েকটা বাজারে ঘুরেও ড্রপ পেলাম না। তখন ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খেয়ে ভালো হয়েছি।

টুঙ্গিপাড়ার ঔষধ ব্যবসায়ী মহিব বিশ্বাস বলেন, অল্প কিছু চোখের ড্রপ ছিলো। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মূহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আর বিভিন্ন কোম্পানিতে চোখের ড্রপ অর্ডার করলেও তারা সরবরাহ করছে না। তাই আমরাও রোগীদের ড্রপ দিতে ব্যার্থ হচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন, চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত কারনে এই রোগে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এটা একটা ছোঁয়াচে রোগ। তাই আমরা সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি। আর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঔষধ খেলেই কয়েকদিনে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব। আর গত কয়েকদিন ধরে বাজারে চোখের ড্রপ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হাসপাতালের ভিশন সেন্টারে চোখের ড্রপ সহ বিভিন্ন ঔষধ ও চোখের সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল