স্পোর্টস ডেস্ক:
শৈশবে নিজ কক্ষের দেয়ালজুড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছবি টাঙিয়ে রাখতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পর্তুগিজ সুপারস্টারের ভক্ত এমবাপ্পে ছোটবেলা থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক। লস ব্লাঙ্কোদের সাদা জার্সি গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন শিশুকাল থেকেই। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়ার অল্প দূরত্বে ছিল। তবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) অর্থের ঝংকারে স্বপ্ন মাটি চাপা দিতে পিছপা হননি ফরাসি তারকা। চুক্তি নবায়ন করেছেন লা প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে। বিপুল বেতনে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এমবাপ্পে পিএসজিতে পেয়েছেন নানা সুবিধা। তবুও এমবাপ্পে-পিএসজির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নাকি পিএসজি ছাড়তে চান ফরাসি তারকা। এমনই খবর ইএসপিএন, মার্কাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের।
৩ বছরের নতুন চুক্তিতে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বোনাস দেয় পিএসজি।
সপ্তাহ শেষে এমবাপ্পের বেতন বাবদ ১৬ লাখ পাউন্ড গুনতে হয় পিএসজির। তবে অর্থ নিয়ে লা প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই এমবাপ্পের। ইএসপিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শর্ত অনুযায়ী তিনি যে ভূমিকা চেয়েছিলেন সেটা না পেয়ে হতাশ ফরাসি স্ট্রাইকার। ক্লাবের সিদ্ধান্তে নিজের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাকে যথাযথ মূল্যায়ন না করার কারণেই তিনি প্যারিস ছাড়তে চান বলে গুঞ্জন উঠেছে।
এমবাপ্পের হঠাৎ ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লুইজ ক্যামপোস। তিনি আরএমসি স্পোর্টকে বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি। কিলিয়ানের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে আমরা। সে কখনো আমাকে কিংবা প্রেসিডেন্ট (নাসের আল খেলাইফি) জানুয়ারিতে ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। এটা স্পষ্ট যে, এটা কোনো ঘোষণা নয় (শুধুই গুঞ্জন)।
এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পিএসজির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (এমবাপ্পে) খুব আনন্দিত দেখি। তার সঙ্গে খেলতে ভালো লাগে আমার। ভালো বন্ধু সে। এমন কিছু ঘটলে সে হয়তো আমাকে বলতো। সদ্যই সে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছে। আমাদের এমন সংবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে।’
দৈনিক মার্কার দাবি, শর্ত সাপেক্ষে এমবাপ্পেকে ছাড়তে রাজি হয়েছে পিএসজি। তাদের দেয়া শর্তের একটি হলো, এমবাপ্পের গন্তব্য কোনোভাবেই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ হতে পারবে না।
গত ট্রান্সফার উইন্ডোয় রিয়ালের সঙ্গে এমবাপ্পেকে ভেড়ানোর দৌড়ে ছিল লিভারপুলও। মার্কার দাবি অনুযায়ী যদি এমবাপ্পে রিয়ালে না যেতে পারেন, তাহলে তার গন্তব্য হতে পারে লিভারপুল। এমবাপ্পে আগে জানিয়েছিলেন তার মায়ের পছন্দের ক্লাব সেটি। এক সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘আমি লিভারপুলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কারণ এটা আমার মায়ের পছন্দের ক্লাব। আমার মা লিভারপুলকে ভালোবাসে।’
এমআই