সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক: ১৯তম ওভারে ৬ রান দিয়ে রিজওয়ানের উইকেট তুলে দিয়ে ক্ষীণ একটা আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সে আশাটা উবে গেল একেবারে। পাকিস্তানের কাছে এবার ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। তাতে বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শূন্য হাতেই বিদায় নিল বাংলাদেশ। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুর দুই ওভারে তোলে ৬ রান। তবে তৃতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামকে চার মেরে হাত খোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাসকিনের পরের ওভারে বাবরও চার মেরে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন। সেই যে দুর্দশার শুরু বাংলাদেশের, তার শেষ হলো না আর। ইনিংসের সপ্তম ওভার পর্যন্ত অন্তত একটি করে চার বের করেছে পাকিস্তান। মাঝে ৪, ৫ আর ৬ নম্বর ওভারে চার এসেছে দুটো করে। অবস্থা বেগতিক দেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই আসেন আক্রমণে। সে ওভার থেকে পাকিস্তান কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি। তুলতে পেরেছে ৪ রান। সাকিব পাকিস্তানের চার মারায় লাগাম টানতে পারলেও উইকেট ফেলতে পারেননি। হয়নি পরের দুই ওভারেও তাতে পাকিস্তান দশ ওভার শেষে তুলে ফেলে ৭৩ রান। এরপর ১১তম ওভারে রিজওয়ান ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফাইন লেগে, তবে সাইফউদ্দিন সেটা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন। এরপরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে দেন ১৯ রান। তাতে পাকিস্তান ম্যাচটা দ্রুতই শেষ করে দেওয়ার আভাস দেয়। তবে পরিস্থিতিটা বদলায় ইনিংসের ১৩তম ওভারে। হাসান মাহমুদ সে ওভারের তৃতীয় বলে বদলি ফিল্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বাবরকে। ১ বল পর হায়দার আলীকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন তিনি। ১০১ রানে দ্বিতীয় উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান। জয়ের একটা ক্ষীণ আশা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। সে আশাটা মিলিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান ওপেনার রিজওয়ান আর চারে নামা মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিংয়ে। দুজনের ঝোড়ো ৬৪ রানের জুটি ভাঙে ইনিংসের ১৯তম ওভারে। সৌম্য সরকার সে ওভারে ৬ রান দিয়ে ম্যাচটা জেতার একটা সম্ভাবনা তৈরি করেন বাংলাদেশের জন্য। তবে শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের করা একের পর এক শর্ট বলে সে সম্ভাবনাটা মিলিয়ে যায়। সে ওভারে পাঁচ বলে তিনি দেন ১১ রান, ৩.৫ ওভার করে তিনি সর্বমোট দেন ৫৩ রান। পাকিস্তান এক বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয়। আজ বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ৬ বল খেলে কোনো রান নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ভাগ্যিস নাসিম শাহ প্রথম বলটা ওয়াইড করেছিলেন, নাহয় সে ওভারটা মেইডেন হিসেবেই লেখা থাকতো খাতায়। শান্তর ডট খেলার প্রবণতা তো ছিলই, দেহভাষ্যেও মিলছিল না ইন্টেন্টের দেখা। যার চাপটা পড়ছিল সৌম্য সরকারের ওপর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরও শান্ত ছিলেন খোলসেই, যে কারণে চাপটা ধীরে ধীরে বাড়ছিল বাংলাদেশের ওপর। ওপাশে আসা লিটন দাস খেলছিলেন অবশ্য হাত খুলে। সঙ্গে পাক বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং বাংলাদেশের কাজটা একটু সহজ করে দিচ্ছিল। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে খোলস ছেড়ে বেরোতে গিয়েই বিদায় নেন শান্ত, ফেরার আগে ১৫ বলে করেন ১২ রান। ভাগ্যিস তার এক বল আগে স্কুপ করে একটা চার আদায় করেছিলেন। নাহয় তার স্ট্রাইক রেটটা যে থাকত আরও নিচের দিকে! দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪১ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সাকিব-লিটন জুটির শুরু। প্রথম দিকে সাকিব একটু নড়বড়ে ছিলেন, লিটনের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝিও হয়ে গিয়েছিল খানিকটা। তবে সেবার ভাগ্যগুণে বেঁচে যাওয়া লিটন এরপর স্বরূপ দেখাতে শুরু করেন। চার-ছক্কা তো আছেই, তা না পেলে অন্তত রানের চাকা অচল হয়ে পড়েনি একটু, এক-দুই রানে ইনিংস গড়ছিলেন সাকিবের সঙ্গে। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। ৬টি চার আর ২টি ছক্কায় ৬৯ রান করে শেষমেশ থামেন তিনি। ১৩ অক্টোবর তার জন্মদিনটাও রাঙানো হয়ে যায় তাতে। ৫৫ বলে ৮৮ রানের জুটি ভাঙার পর সাকিব অনেকটা একাই লড়েছেন। ৭ ছক্কা আর ৩ চারে ৪২ বলে ৬৯ রান করে সাকিব যখন ফিরছেন, তখন বাংলাদেশের রান ১৬৭। ইনিংসে বল তখনো বাকি ৮টি। পরের আট বল থেকে কেবল ৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। যার ফলে সম্ভাবনা জাগিয়েও বাংলাদেশের রানটা আটকে যায় ১৭০ এর ঘরেই। ব্যাটিংয়ে শেষের ব্যর্থতায় যদি রান এত কম না হতো, তাহলে হয়তো ম্যাচের ফলাফলটাও ভিন্ন হতে পারত! সেটা হলে বাংলাওয়াশ সিরিজ থেকে খালি হাতে ফিরতে হতো না বাংলাদেশকে। এসএম
এ বিভাগের আরো
জুলাই-আগস্ট বিপ্লব স্মৃতি স্মরণে
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল