নিজস্ব প্রতিবেদক, সময় জার্নাল : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ বিমানের পাঁচটি ও ফ্লাইট দুবাইয়ের দুটিসহ মোট সাতটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে ল্যান্ডিং পারমিশন এখনও না পাওয়ায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় জেদ্দার ফ্লাইটটি যাবে বলে তারা জানিয়েছে।’
বিমানবন্দরের ভিন্ন একটি সূত্র বলছে, রাত আটটা পর্যন্ত শিডিউলের ১৬টি ফ্লাইট বাতিল দেখাচ্ছে।
এদিকে সাতটি ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিদেশগামী যাত্রীদের দুভোর্গ চরমে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য রিয়াদগামী বিজি৫০৩৯ ফ্লাইটটি ৩১৪ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সোয়া ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে প্রবাসী কর্মীরা শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বিমানবন্দরে আসতে থাকেন।
তারা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশি ভাড়ায় যানবাহনে নানান ঝামেলা পার করে তারা এসে রাত ২টায় জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল। এরপর বিমানবন্দরে যাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে আজ থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গত ১৫ এপ্রিল এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ১১ এপ্রিল বেবিচক জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলাকালীন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
পরে গত ১৫ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সময় জার্নাল/আরইউ