বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ফরিদপুরে লকডাউনে দিশেহারা মধ্যবিত্ত-নিন্মবিত্তরা

শনিবার, এপ্রিল ১৭, ২০২১
ফরিদপুরে লকডাউনে দিশেহারা মধ্যবিত্ত-নিন্মবিত্তরা

এহসান রানা, ফরিদপুর : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশে নেয়া হয়েছে লকডাউনসহ নানান পদক্ষেপ। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবার , শ্রমিক , রিকশা, ভ্যান, অটো চালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ( চায়ের দোকান, পান সিগারেটের দোকানী ও রাস্তার পাশে ফল ব্যবসায়ী)।

লকডাউনে সুবিধা জনক অবস্থানে আছে সকল শ্রেণীর চাকরিজীবি ও প্রশাসনের ক্ষমতাধর একাংশের কর্মকর্তারা যারা সাধারন মানুষকে মানুষই মনে করেন না।

এবারের লকডাউনে নিম্নবিত্ত-দরিদ্ররা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছে না।

দৈনন্দিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় তাদের আয়-রোজগার নেই। ফলে একদিকে খাবার কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন, অপরদিকে সামাজিক মর্যাদার কারণে কারও কাছে চাইতেও পারছেন না। নিরবেই কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনকে ঘিরে কয়েকদিনের ব্যবধানে স্থানীয় বাজারে দ্রব্যমূল্যেরও উর্দ্ধগতি লক্ষ্য করা গেছে।

ফরিদপুর  জেলায় ও উপজেলায় বড় একটি অংশ মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা ক্ষুদ্র বা মাঝারি ধরনের ব্যবসা করে সংসার চালান। এসব দোকানের আয়ে তাদের সংসার চলে।

এর বাইরে তাদের আয়ের কোন পথ নেই। লকডাউনে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসা ছাড়া বাকি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। দোকান পাট খোলার উপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মোট কথা তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে গত কয়েকদিন ধরে। 

এক ক্ষুদ্র  ব্যবসায়ী  বলেন, বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে খাচ্ছি। চলমান লকডাউনে গত কয়েকদিন ধরে দোকান পাট বন্ধ রয়ে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এঅবস্থায় দোকান ভাড়া ও সংসার চালাতে কোনো উপায়ন্তর না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

তিনি আরো জানান, গত বছরও প্রায় একইদিনে লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় ব্যবসার অনেক লোকশান হয়েছে। এবছর ভেবেছিলাম ব্যবসা করে কিছুটা হলেও লোকশান পুশিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু এবছরও রমজানে লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কিভাবে যে আমাদের সংসার চলবে তা একমাত্র আল্লাহই জানে।

এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মালের বাজারেও ওস্তা, ঢেড়ঁস শাক-সবজিসহ বিভিন্ন পন্যের দাম; লকডাউনকে ঘিরে অনেকটা বেড়ে গেছে।

 বাজারের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে, কিছু ব্যবসায়ীরা পেটের দায়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বেচাবিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন  বলেন, ভাই বড় বিপদে আছি। সংসার চালাতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। চক্ষুলজ্জায় কষ্টগুলো প্রকাশ করতে পারছি না কারন  আমি/আমরা মধ্যবিত্ত।

তিনি খুব আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আছে শুধু সুখ। কিন্তু এর আড়ালে আমরা যে কত কষ্টে জীবনযাপন করি, তা বোঝানো যায় না। কেউ বোঝারও চেষ্টা করে না। 

জানা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে খাবার এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য তুলে দিচ্ছেন অনেকেই। সরকারও গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে মধ্যবিত্তের পাশে নেই কেউ। ঘরে খাবার না থাকলেও মধ্যবিত্তরা লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না। বর্তমানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেড়েছে। বাজারে এসব পন্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর। এমনভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে  ঘরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, মা, বাবা, ভাই,বোন নিয়ে কিভাবে যে সংসার চলবে ভাবলেই দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

সময় জার্নাল/এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল