আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার রাতে দুই দেশের সমুদ্র সীমান্তের কাছে গোলা নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার ঠিক এক দিন আগেই ওই অঞ্চলে সিওল বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়া তার পশ্চিম উপকুলের অদূর থেকে ১০০টি এবং পূর্ব উপকূল থেকে ১৫০টি গোলা নিক্ষেপ করে। সিওল জানিয়েছে যে তাদের সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়াকে এই গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করার জন্য কয়েকবার বলে তবে দু’পক্ষের মধ্যে সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া বলে, ওই গোলা তাদের সামুদ্রিক অঞ্চলে গিয়ে পড়েনি তবে দুই কোরিয়ার মাঝে সামুদ্রিক বাফার জোনে গিয়ে পড়েছে। এই নিরপেক্ষ স্থানটি ২০১৮ সালে স্থাপন করা হয়, দুই কোরিয়ার মধ্যকার প্রত্যক্ষ সংঘাত কমিয়ে আনার জন্য সমঝোতার মাধ্যমে।
গত শুক্রবারের পরে উত্তর কোরিয়া এই দ্বিতীয় বার বাফার জোনে গোলা নিক্ষেপ করলো। শুক্রবার উত্তর কোরিয়া শত শত গোলা নিক্ষেপ করেছিল।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর কোরিয়া প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা নিক্ষেপ করেছে। বিশেষেজ্ঞরা বলছেন, অস্ত্রের ভাণ্ডার সম্প্রসারণ এবং প্রতিপক্ষের সাথে আগামিতে দরকষাকষিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার জন্য উত্তর কোরিয়া এই অস্ত্র অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। পিয়ংইয়ং ‘এর একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের উপর দিয়ে গিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে বলে যে তার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক আক্রমণের পরীক্ষা। আর এটি করা হয় তাদের ‘বিপজ্জনক’ সামরিক মহড়ার জবাবে যে মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবাহী জাহাজও যুক্ত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থিতিশীলতা খর্ব করে এমন পরীক্ষা উত্তর কোরিয়াকে বন্ধ করতে হবে। সিওল বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বিতভাবে তারা পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজরদারি করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সোমবার ১২ দিন ব্যাপী তাদের বার্ষিক মহড়া শুরু করে যাতে তাদের নিজেদের প্রয়োগ ক্ষমতাকে আরো শান দেয়ানো যায়। তারা বলছে এ বছরের এই অনুশীলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্যরা অংশ নিচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর