সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক :
জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় ৩ চাকার গাড়ি বন্ধ করেছি। আমি যখন খবর নেই, বলে যে, অমুক জনপ্রতিনিধি গাড়ি চলতে দিয়েছেন। কেন চলবে? উনার কোনো স্বার্থ আছে। কেন চলবে? সামনে ভোট আছে। জীবন আগে না জীবিকা আগে? জীবন তো বাঁচাতে হবে। জীবন না বাঁচলে জীবিকা দিয়ে কী হবে! তিনি বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলছি কোনো পারসেন্টেজ, কোনো কমিশন কখনো নেইনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়? দুর্নীতিবাজদের কারণে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে কিছু লোক আছে, তাদের আর কত টাকা, কত সম্পদ দরকার? তারা যদি নেতা হন, সেই নেতা বাংলাদেশে দরকার নেই। শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো ভালো মানুষ পঁচাত্তর পরবর্তী আর একজনও আসেনি। কিন্তু আমরা যারা তার সঙ্গে রাজনীতি করি, আমরা কয়জন তাকে মেনে চলি? কয়জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে করেন, আর কয়জন পকেটের উন্নয়ন করেন? একদিন হিসাব দিতে হবে সকলকে। শেখ হাসিনা একা সৎ থাকবেন, দিন-রাত পরিশ্রম করবেন, আর আমরা টাকার পেছনে নিজের ভাগ্যোন্নয়নে পকেটের উন্নয়নে কাজ করবে, এটা হয় না।
নিজে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বুকে হাত দিয়ে বলছি কোনো কমিশন কখনও নিইনি। কিন্তু এরা কারা আমার সঙ্গে কাজ করে? এক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়? নিম্নমানের পণ্য দিয়ে বানানোর কারণেই তো নষ্ট হয়। এই রাস্তা করে কী লাভ?
সড়ক পরিবহন আইন হলেও তার বাস্তবায়ন এবং নীতিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আগের সচিবকে বলেছি, বর্তমান সচিবকেও বলছি। বর্তমান সচিব এত কাজ করেছেন, এত কাজ জমে আছে। আইন হয়েছে নীতিমালা হয়নি, আইনের সংশোধন নিয়ে কথা উঠেছে। এর ফয়সালা হয় না কেন? আমি আবার সচিব মহোদয়কে বলবো বিষয়টিতে নজর দিতে। তিনি বলেন, গতবারের প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনা, যানজট ও মোটরসাইকেলের উপদ্রব কমানোর। এই ঢাকা শহরে এখন আর হেলমেট ছাড়া কোনো যাত্রী দেখি না, রাস্তায় যারা হেলমেট ছাড়া চলে তারা পলিটিক্যাল লোক। পলিট্রিক্স ঠিক না হলে কিছু ঠিক হবে না।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের অসুবিধা করে রং সাইডে যাবেন, আপনি কী নেতা, কেমন রাজনীতিবিদ? আপনাদের দিয়ে জনগণের কী কাজে আসবে? আগের সচিবকেও বলেছি, এদের নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নীতিমালা করলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম খারাপ হতে চলেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল