আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন।
রোববার তিনি এ ঘোষণা দেন। এর ফলে কনজারভেটিভ দলের আরেক নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে গেল।
নৈতিকতা কেলেঙ্কারির মধ্যে জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন জনসন। এরপর গত সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া লিজ ট্রাসও দেশটির টালমাটাল পরিস্থিতিতে গত ২০ অক্টোবর পদত্যাগে করেন। ট্রাসের পদত্যাগের পর যে কয়জন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে বরিস অন্যতম ছিলেন।
রোববার বরিস জানান, ১০২ জন আইন প্রণেতা তাকে সমর্থন করেছেন। তবে তিনি সুনাকের থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলেন বলে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে শাসন করতে পারবেন না।’
জনসনের প্রত্যাবর্তন ইতোমধ্যে বিভক্ত কনজারভেটিভ পার্টিকে আরো অশান্তিতে ফেলেছিল। তিনি দলকে ২০১৯ সালে একটি জমকালো নির্বাচনী বিজয় উপহার দিয়েছিলেন। তবে তার প্রধানমন্ত্রীত্ব অর্থ ও নীতি-নৈতিকতার কারণে কেলেঙ্কারিতে ছেয়ে যায় যার ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাস পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টি তড়িঘড়ি করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পদ থেকে এখন সরে দাঁড়ালেও বরিস ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে চোখ রাখছেন।
রোববারের বিবৃতিতে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের পরের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।
সময় জার্নাল/এলআর