আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে দুইজন নিহত ও অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বন্দুকধারী সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস স্কুলে প্রবেশ করে এ হামলা চালায়।
হামলার ঘটনার পরপরই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে হামলার প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল বলছে, পুলিশ বন্দুকধারীকে ‘দ্রুত আটকাতে’ সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ১৯ বছর এবং ওই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়। তবে চারশ শিক্ষার্থীর ওই স্কুলে কেন হামলা চালান ওই তরুণ তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
এর আগে, পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, স্কুলেই এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অপর এক নারী হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আহত ৭ জনের মধ্যে তিনজন মেয়ে ও চারজন ছেলে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
শহরটির পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাক জানান, হামলার খবরে শিক্ষার্থীরা ভয়ে ছুটতে থাকেন। পরিস্থিতি দেখে স্কুল স্টাফরা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। ওই বন্দুকধারী শতাধিক বুলেট বহন করছিল এবং তার কাছে যা প্রায় এক ডজন উচ্চ-ক্ষমতার ম্যাগাজিনে সাজানো ছিল। তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।
এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনার দিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এফবিআই প্রতিনিধিরা ঘটনাটি তদন্ত করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার, মিশিগানের এক কিশোর গত নভেম্বরে তার স্কুলে বন্দুক হামলা ও হত্যাসহ ২৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়।
সময় জার্নাল/এলআর