সময় জার্নাল ডেস্ক:
শীতকালীন সবজির মাঠ লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে সিত্রাংয়ের তাণ্ডব। এর প্রভাব পড়েছে বাজারেও। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য অনেক পণ্যের মতো শীতকালীন সবজির দামও চড়া। ডিম-চিনিতেও মেলেনি স্বস্তি। কমেনি মাছ-মাংস ও চালের দাম।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ ও ৬ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা, বেগুন, পটল, ঢ্যাঁড়স ও কাঁকরোলসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিন বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-২৫ টাকা। এছাড়া পটল ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, ফুলকপি প্রতি জোড়া ১৩০ টাকা, বাঁধা কপি ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, মানভেদে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম বাড়লে স্থিতিশীল আছে ডিম ও মাংসের বাজার। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা, হাসের ডিম ২১০ আর দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে আজ গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে।
বাজারে চালের দামও রয়েছে স্থিতিশীল। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৫ টাকা, আটাশ ৫৫-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮৩-৯১ টাকা, মোটা চাল ৪৮-৫৫ টাকা, চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, কাটারি ৬০-৬৫ টাকা, আটাশ ৪৮-৫৫ টাকা এবং পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজারে পৌঁছায়নি সরকার নির্ধারিত দামের চিনি। যদিও গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) থেকে সরকার নির্ধারিত দাম, অর্থাৎ প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। বাজারে চিনির সংকট থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
তবে এরপর পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মিরপুর ৬ নম্বর এলাকার আল আমিম স্টোর সেন্টারের ব্যবসায়ী মাহমুদ জানিয়েছেন, এখনো নতুন দামের চিনি হাতে পাননি তারা। চিনির দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া।
এদিকে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি রুই ২৬০-২৭০ টাকা, কাঁচকি ৭০০, পাবদা ৬০০, রূপচাঁদা ১ হাজার ১০০ এবং তেলাপিয়া ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর