স্পোর্টস ডেস্ক:
নোবল কান্ডের পর শেষ পর্যন্ত তিন রানে জিম্বাবুয়কে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জিততে শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। তখন কিনা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বল তুলে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে! ঝুঁকি তো ছিলই। এক পর্যায় ম্যাচের পরিস্থিতি দাঁড়ায় ২ বলে ৫ রান। মনে হচ্ছিল বুঝি হেরেই গেল বাংলাদেশ। তখন নো বলে ফের নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেকই মান বাঁচালেন। ৩ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে লাল-সবুজেরা।
এমন একটা ম্যাচে শেষ ওভার করতে এসে মনের অবস্থা কেমন ছিল মোসাদ্দেকের? ১৬ রান আটকানো যাবে ভেবেছিলেন? শেষ ওভারে চার-ছক্কা খেয়ে তার মনের অবস্থাটা কেমন ছিল? শেষ বলটা নো হয়ে গেল, তারপর মনের কী অবস্থা ছিল/এতসব প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার ঠান্ডা মাথায় খেললেন।
শেষ ওভারে বল পেয়ে কী কথা হয়েছিল অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে? কী পরামর্শ দিয়েছিলেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার? গ্যাবায় সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের কথা হয়েছিল দুই রকম- ইয়র্কার করব নাকি লেন্থ বল করব। মাঠটা ছোট ছিল সামনের দিকে, ইয়র্কার মিস হলে লেন্থ মিসে ৬ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য আমরা পরিকল্পনা করছিলাম একটু ব্যাক অব লেন্থে, একটু জোরের ওপর করব, যেন মিস টাইমিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
আর সেই চেষ্টাতেই সফল মোসাদ্দেক। সফল বাংলাদেশ দল। একটা জয় নির্ভার হয়ে তাদের অ্যাডিলেডের মাঠে নামতে দিচ্ছে। সামনে দুই প্রতিপক্ষ ভারত-পাকিস্তান। সামনে সেমি-ফাইনালেও হাতছানি। সব ভুল সামলে উঠলে ২০ ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই তো হতে পারে!
গ্যাবার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসে মোসাদ্দেক শেষ ওভারের উত্তেজনা সম্পর্কে বলেন, ‘দেখুন, এটা অবশ্যই অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা সবার জন্যই। ওদের ইনিংস শেষ করে আমরা চলে এলাম, এরপর নো বল, আবার ভেতরে গেলাম, সবাই নার্ভটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। ঠিক আছে যাই হবে, হোক। আমাদের যে প্ল্যান ছিল ওই প্ল্যান অনুযায়ী বোলিং করি, এরপর যদি ওরা রান নিতে পারে, সেটা ঠিক আছে। এটা নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করি না।’
তবে মাথা ঠান্ডা রেখেই বল করেছেন মোসাদ্দেক, ‘পরিষ্কার জানাতে চাই-একটা বলও জেদ দিয়ে করিনি। প্রতিটি বল ডট করার জন্য, জেতার জন্য সবার মধ্যে একটা ক্ষুধার্ত ভাব ছিল। অবশ্যই সবাই জিততে চেয়েছে। সেই চেষ্টা এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সবাই মাঠে শো করেছে। আমি মনে করি যে, অবশ্যই পুরো দলের কম্বিনেশন বলেন, পুরো টিমের চেষ্টা ছিল আমাদের জেতার পেছনে।’
শেষ ওভারে যখন ছক্কা মুজারাবানি ছক্কা হাঁকালেন, তখনো অস্থির হয়ে যাননি মোসাদ্দেক। সেই সময়ে কথাও বলেছেন অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে। পরামর্শ নিয়েছেন, ‘দেখুন, এটা ক্রিকেট খেলা, যেকোনো কিছু হতে পারে। ছয়ও হতে পারত, চারও হতে পারত। কিন্তু নার্ভ কন্ট্রোল করাটা জরুরি। সেটা আমি সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে বলছিলাম।
এমআই