ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা : চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বর স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শুরুতেই চাপে ফেলেন বরুণ চক্রবর্তী ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৯ রানে বিরাট কোহলি এবং রাজাত পাতিধরের মতো দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু যে পিচে এক সঙ্গে জ্বলে ওঠেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর এবিডি ভিলিয়ার্স, সেখানে প্রতিপক্ষের বোলারদের কি অবস্থা হয়, তা আবার দেখলো দর্শকরা। রোববার (১৮ এপ্রিল) দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের সত্তর ছাড়ানো ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ দাঁড়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রান।
বেদম মার খেয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম স্পেলে দুই ওভারে দেন ২৪ রান। বাউন্ডারি ৩টি আর ছক্কা একটি। এরপর তাকে বোলিংয়ে আনা হয়নি। তাতে উইকেটশূন্য থাকা সাকিবের পরের ম্যাচ খেলা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
৯ রানে দুই উইকেট হারানো দলটির হাল ধরেন দেবদূত পাড্ডিকাল এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাদের ৮৬ রানে জুটিতে সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। ২৫ রান করে পাড্ডিকাল বিদায় নিলেও অপরপ্রান্তে ঝড়ো ইনিংসে খেলেন ম্যাক্সওয়েল। চতুর্থ উইকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে আরও ৫৪ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল। তাতে বড় সংগ্রহের ভিতটা আরও মজবুত করে তারা। দলীয় ১৪৮ রানে সাজ ঘরে ফেরেন ৭৮ রান করা এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। কাইল জেমিসন নিয়ে ইনিংসের শেষটা করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ২০ বলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় হারা না মানা ৫৬ রান। ভিলিয়ার্স ৩৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৭৬ রানে। জেমিসনের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। সাকিবের পর কলকাতার সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন আন্দ্রে রাসেল; দুই ওভারে দেন ৩৮ রান।
মাথার উপর ২০৫ রানের বিশাল স্কোর। শুরুটা খারাপ করেনি কলকাতার দুই ওপেনার নিতীশ রানা এবং শুভমান গিলের ব্যাট। ৯ বলে ২১ রান করা গিলের বিদায়ের পরও নিতিশকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন রাহুল ত্রিপাঠি। তাদের কল্যাণে ছয় ওভার শেষেও কলকাতার আস্কিং রান রেটের কাছেই। দলটি পাওয়ার-প্লে শেষ করে ৫৭ রান নিয়ে। তবে রাহুলের উইকেটটা হারায় একেবারে শেষ বলে। নিতিশও গেলেন পরের ওভারে। এরপরই পিছিয়ে পড়া শুরু শাহরুখ খানের দলের। দিনেশ কার্তিকও হতাশ করলেন।
ইয়ুন মরগ্যান-সাকিবের ৪০ রানের জুটি কিছুটা আশা দেখাতে থাকে নাইট শিবিরে। বল হাতে ব্যর্থ সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। যা চাপটা কেবলই বাড়িয়েছে কলকাতার। মরগ্যান বিদায় নেন ২৯ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসে অসম্ভব যাত্রাটা সম্ভব করা হয়নি দলটির। ফলে ৩৮ রানে হারতে হলো কলকাতাকে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল শাহরুখ খানের দল। ফলে নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে আগামী বুধবার (২১ এপ্রিল) চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে তারা।
সময় জার্নাল/আরইউ